সংক্ষিপ্ত
কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করা উচিৎ না নিয়ে রোমের পুরোহিত সেমিনারিয়ানদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল। সেই সভাতেই রীতিমত পর্নোগ্রাফি নিয়ো বোমা ফাটালেন পোপ ফ্রান্সিস।
আবারও পর্নগ্রাফি নিয়ে সচেতন করলেন পোপ ফ্রান্সিস। ২৬ অক্টোবর আবারও এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমত সরব হন , তিনি বলেছেন, 'অনলাইন পর্নোগ্রাফি একটি বিপদ।' পর্নোগ্রাফি দেখা পাপ, কিন্তু এটি নান ও যাজকরাও দেখে থাকেন। কিন্তু এটি দেখা যে মোটেও শ্রেয় নয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। গত জুন মাসেই পোপ ফ্রান্স পর্নোগ্রাফিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে ঘোষণা করেছিলেন।
কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করা উচিৎ না নিয়ে রোমের পুরোহিত সেমিনারিয়ানদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল। সেই সভাতেই রীতিমত পর্নোগ্রাফি নিয়ো বোমা ফাটালেন পোপ ফ্রান্সিস।
রোমের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, 'আপনারা প্রত্যেকে মনে করেন যে আপনার অভিজ্ঞতা আছে, যা ডিজিটাল পর্নোগ্রাফির প্রলোভন আছে কিনা।' এটি এমন একটি পাপ যা অনেকই করে থাকেন। মহিলা পুরোহিত, সাধারণ পুরোহিত ও সন্ন্যাসীরাও এই পাপ কাজটি করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, 'পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে শয়তান সেখানে প্রবেশ করে, পুরোহিতদের হৃদয়কে দুর্বল করে দেয়।'তিনি পর্নোগ্রাফির মত বিরক্তিকর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা বা বিষয়টি উত্থাপনের জন্য তিনি সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। তারপরই তিনি বলেন এটি এমন একটি বাস্তবতা যা পুরোহিত, সেমিনারিয়ান, নান, পবিত্র আত্মাদের স্পর্শ করে।
৮৬ বছরের পোপ আরও বলেন প্রলোভন এড়াতে সন্ন্যাসী বা নান ও যাজকদের ফোন থেকে যে কোনও ধরনের পর্নোগ্রাফিক সাইট ও সামগ্রী মুছে ফেলাই শ্রেয়। আর এটি করার জন্য তিনি প্রত্যের ধর্মীয় ব্যক্তির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি যেমন রাশিয়ার ইউক্রেনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, তেমনই চিনের উইঘোর নিয়েও আলোচনা করেছিলেন।
উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে এবার সরব হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিসও। এই প্রথমবার তিনি চিনের উইঘুরের মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়ে চিনা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন। তিনি বলেন সেখানের মুসলিমদের নীপিড়িত সম্প্রদায়ের মানুষ। পাশাপাশি তাঁদের ওপর চলা অত্যাচারের বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু চিনা প্রশাসন পোপ ফ্রান্সিসের দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জিয়াং ঝাউ বলেন চিন প্রশাসনের প্রধানলক্ষ্যই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষা করা। সংখ্যালঘুদের আইনি অধিকার সমানভাবে প্রতিষ্ঠা করা। তিনি তাঁর পূর্বসুরীদের থেকে অনেকটাই আলাদা।
আরও পড়ুনঃ
ওয়ার্মারে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু, দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নার্সকে বরখাস্ত করল হাসপাতাল
পাকিস্তানে গোপন সাইবার-বাহিনী তুরস্কের মদতে, নেতৃত্বে রয়েছে কুখ্যাত টার্কির মন্ত্রী সোয়লু
কোয়েম্বাটোর গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ক্রমশই জটিল হচ্ছে , তদন্তের দায়িত্ব নিল এনআইএ