সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার একটা সুযোগ দিয়েছে মস্কো। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সেরগেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তার আগে ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র নামিয়ে রাখতে হবে। পাল্টা প্রতিরোধ করা যাবে না।
আমেরিকা (America) ও ন্যাটোর (NATO) হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালিয়েছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার (Russia) এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে একাধিক দেশ। রাশিয়ার উপর আমেরিকার তরফে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞাও চাপানো হয়েছে। আর সেই যুদ্ধ ঘোষণার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর কিছুটা হলেও সুর নরম করল রাশিয়া। ইউক্রেনকে (Ukraine) আলোচনায় বসার একটা সুযোগ দিয়েছে মস্কো (Moscow)। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সেরগেই লাভরভ (Sergei Lavrov) বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তার আগে ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র সংবরণ করতে হবে। পাল্টা প্রতিরোধ করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় অনুসারে সকাল ৬টার কিছুটা আগেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকেই ইউক্রেনের উপর একের পর এক হামলা চালাতে শুরু করে রাশিয়া। কার্যত তিন দিক থেকেই চালানো হয় হামলা। রীতিমতো বিধ্বস্ত অবস্থা ইউক্রেনের। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের যুদ্ধেই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর খারকিভ এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চেরনোবিলের দখল নেয় রুশ সেনা। চলে আকাশপথে বোমাবর্ষণ। ইউক্রেনের বিমানবন্দর এবং রানওয়েগুলোই রুশ সেনার প্রধান লক্ষ্য। এর মধ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আবার পাল্টা দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনাও। পুতিনের সেনার সাঁজোয়া গাড়ি, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। এরপর যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে রুশ বাহিনী পৌঁছে যায় রাজধানী কিভের দোরগোরায়। আর সেখানেই রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি। সকালের দিকেই হতাশ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলিকে একহাত নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। জানিয়েছিলেন, 'গতকালের মতো আজও একাই লড়তে হচ্ছে তাঁদের, পাশে কেউ নেই। বিশ্বের শক্তিশালী দেশ দূর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।'
এদিকে ইউক্রেনের উপর হামলার পর থেকেই বিশ্বের একাধিক দেশ চাপ বাড়িয়েছে রাশিয়ার উপর। আমেরিকা ছাড়াও ব্রিটেন, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কানাডা রাশিয়ান ব্যাঙ্ক এবং অস্ট্রেলিয়া পুতিনের শীর্ষ উপদেষ্টাদের নিষিদ্ধ করেছে। আর তারপরই কিছুটা সুর নরম করে আলোচনায় রাজি বলে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা টুইট করে ওই ঘোষণার কথা জানায়। যদিও এ ব্যাপারে পুতিনের প্রতিক্রিয়া বা ইউক্রেনের জবাব এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আসলে রাশিয়ার শর্ত মেনে কিয়েভ আলোচনায় বসে কিনা এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- 'একা লড়তে হচ্ছে, শক্তিশালী দেশ দূর থেকে দেখছে', হতাশার সুর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের গলায়