সংক্ষিপ্ত

স্থানীয় সময় অনুসারে আজ সকালে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন জেলেনস্কি। সেখানে কার্যত আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলিকে একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেন, "এখনও দূর থেকে গোটা বিশ্ব ইউক্রেনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে পর্যবেক্ষণ করছে। কেউ এগিয়ে আসছে না।"

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President) ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) গতকাল ইউক্রেনে সেনা অভিযানের (Military Operation) কথা ঘোষণা করার পরই সেখানে একের পর এক হামলা চালাতে শুরু করে রুশ সেনা (Russian Army)। কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থা রয়েছে সেখানে। রাশিয়া (Russia) তিনদিক থেকে আক্রমণ করার পর অসম যুদ্ধে নামতে হয়েছে ইউক্রেনকে (Ukraine)। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে শক্তিশালী দেশগুলিকে পাশে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (President Volodymyr Zelenskyy)। শুধু দূর থেকেই সবাই ইউক্রেনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

স্থানীয় সময় অনুসারে আজ সকালে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন জেলেনস্কি। সেখানে কার্যত আমেরিকা (America) ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলিকে একহাত নিয়েছেন তিনি। বলেন, "এখনও দূর থেকে গোটা বিশ্ব ইউক্রেনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে পর্যবেক্ষণ করছে। কেউ এগিয়ে আসছে না। আজ সকালে, আমরা একাই আমাদের দেশকে রক্ষা করছি। গতকালের মতোই, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলি দূর থেকে গোটা বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছে। পাশে কেউ নেই।"

আরও পড়ুন- ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের খুব কাছ রুশ সেনা, শহরে পরপর বিস্ফোরণ

গতকাল রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রথম দিনই সেদেশের ৮৩টি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। এই পরিস্থতিতে ন্যাটো-কেও একহাত নিয়েছেন জেলেনস্কি। তাঁর দাবি, কৃষ্ণসাগর থেকে আজভ সাগর- দেশের সর্বত্র পুতিনের সেনার দাপাদাপির মাঝেও ন্যাটোর (NATO) নেতারা নীরবই রয়েছেন। সকলেই ‘ভীত’ হয়ে রয়েছেন বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশ হতে চায় ইউক্রেন। কিন্তু কয়েক বছর পরেও এটা পরিষ্কার নয়, শেষ পর্যন্ত তাদের গোষ্ঠীভুক্ত করা হবে কিনা। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জেলেনস্কি জানান, "আজ আমি ইউরোপের ২৭ জন নেতার কাছে জানতে চেয়েছি ইউক্রেন ন্যাটোর অন্তর্গত হবে কিনা। আমি সরাসরিই জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু সকলেই এত ভীত হয়ে রয়েছে, কেউ কোনও উত্তর দিতে পারেনি।

আরও পড়ুন- ইউক্রেনে হামলা ন্যাটোকে দূরে রাখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, জেনে নিন কী চায় রাশিয়া

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার হামলার পিছনে যে কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন অর্থাৎ ন্যাটো। ১৯৪৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে ন্যাটো গঠন করা হয়েছিল। সেই সময় উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের ১২টি দেশ এর অন্তর্গত হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ৩০টি দেশে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু, ইউক্রেন ২০০৮ সাল থেকে ন্য়াটো গোষ্ঠীর অন্তর্গত হতে চেয়েছে। তবে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। 

আরও পড়ুন- আত্মসমর্পণের নির্দেশের উত্তরে অশ্লীল গালি, ১৩ জন ইউক্রেনিয় সেনাকে গুলি রাশিয়া নৌসেনার

এদিকে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে শক্তিশালী দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে না থাকলেও, রয়েছে স্লোভাকিয়া। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেন থেকে যাতে শরণার্থীরা আসতে পারেন, তার জন্য খুলে দেওয়া হবে সীমান্ত। তদারকির জন্য সীমান্তে মোতায়েন করা হবে দেড় হাজার সেনা। গাড়ি ও ট্রেনে করে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন থেকে পালাতে শুরু করেছেন মানুষ।