সংক্ষিপ্ত
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বেলজিয়ামের সরকারি কর্মীরা শিফট শেষ হওয়ার পর নিজের বসকে উপেক্ষা করতে পারবেন। ‘অতিরিক্ত কাজের চাপের’ বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেখানে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে বদলে গিয়েছে অফিসের (Office) সংগা। এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ অফিসই চলছে বাড়ি থেকে (Work From Home)। ফলে সেই ট্রেনে-বাসে ভিড়ের মধ্যে চাপাচাপি করে অফিসে যাওয়ার দিন বদলে গিয়েছে। কিন্তু, এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে কিছু কিছু কর্মীর। কারণ বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে অনেকেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষে করতে পারছেন না। আবার কাজ শেষ করার পরও অফিসের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা তাঁদের কাছে কঠিন হয়ে উঠেছে। ফলে ব্যক্তিগত জীবন (Personal Life) বলে আর কিছুই থাকছে না। সবটাই বরাদ্য হয়ে গিয়েছে অফিসের জন্য। এমনকী, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দোহাই দিয়ে অনেক অফিসই নির্দিষ্ট শিফটের পরও কর্মীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। আর তার সঙ্গে ভিডিও কল (Video Call), মিটিং (Meeting), মেসেজের উত্তর এসব লেগেই রয়েছে। ফলে বাড়িতে থেকেও শান্তি পাচ্ছেন না অনেকেই। ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন বহু কর্মী। গ্রাস করছে হতাশা। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার বেলজিয়ামে (Belgium) চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম।
কী সেই নতুন নিয়ম?
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বেলজিয়ামের সরকারি কর্মীরা (Government Workers) শিফট শেষ হওয়ার পর নিজের বসকে উপেক্ষা করতে পারবেন। ‘অতিরিক্ত কাজের চাপের’ বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেখানে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। আর এই মুভমেন্টকে বলা হচ্ছে, ‘সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অধিকার’ (Right to Disconnect)। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেদেশে কার্যকর হচ্ছে এই নয়া নিয়ম। সেখানে বলা হয়েছে, একমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে যেখানে পরবর্তী শিফটের জন্য অপেক্ষা করা যাবে না, একমাত্র সেক্ষেত্রেই প্রয়োজন হলে কাজের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- রানীর খেতাব কি ধরে রাখতে পারবে জাপানি বানর, সামনে ত্রিকোন প্রেমের ফাঁদ
বলা হয়েছে, যদি কর্মীরা কাজের সময়ের পরে নিজের বসকে কোনও বিষয় নিয়ে উত্তর দিতে না চান অর্থাৎ ফোন ধরা বা মেসেজের উত্তর দিতে না চান তাহলে কোনও সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও তা করতে কর্মীদের বাধ্য করতে পারবে না। মূলত কর্মীরা যাতে কাজে আরও মনযোগ দিতে পারেন, আরও শক্তি নিয়ে কাজ করতে পারেন তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি এটি না মানে তাহলে সেক্ষেত্রে কী করা হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। আসলে বেশিক্ষণ ধরে কাজ করার ফলে কর্মীরা ক্লান্ত হয়ে পড়তেন। তাতে কাজের মানও কমে যাচ্ছিল। তার ফলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- লকডাউনে আনন্দ হারিয়ে গিয়েছে, এই পাঁচ উপায় মন ভালো রাখুন
এর আগে, পর্তুগালের সরকার নতুন শ্রম আইন পাশ করেছিল। কাজের সময়ের পরেও কর্মীদের দিয়ে কাজ করালে বস বা ম্যানেজার স্থানীয় লোককে ব্যান করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই আইনে বলা হয়েছে, দিনের কাজ শেষ করার পরে বা শুরু করার আগে কর্মীদের সঙ্গে যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনওভাবে যোগাযোগ করেন তাহলে তাঁকে জরিমানার মুখোমুখি পড়তে হবে। আর এবার প্রায় এই একই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে বেলজিয়ামে।
আরও পড়ুন- ওয়ার্ক ফ্রম হোমেও শিফটের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব, জেনে নিন কীভাবে