সংক্ষিপ্ত

সারাটা দিন কাটছে ল্যাপটপে (Laptop) মুখ গুঁজে। ৯ ঘন্টার শিফট হলেও কাজ শেষ হতে লেগে যাচ্ছে ১১ থেকে ১২ ঘন্টা। কারও কারও তারও বেশি। ঘুম থেকে উঠে থেকে ঘুমাতে যাওয়া, সারাটা সময় অফিসের চিন্তা। ছুটির দিনেও শান্তি নেই।  সেদিনও চলে কাজ। আর এর ফলে খারাপ প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত জীবনে। এবার থেকে মেনে চলুন এই কয়টি টিপস। 

দীর্ঘদিন ধরে চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home)। ফলে সেই একঘেঁয়ে জীবন। সকাল থেকে ওঠা মাত্র ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়া। সারাদিন চলছে কাজ। এরই মাঝে অতি কষ্টে সময় বের করতে হয় স্নান, খাওয়ার জন্য। সারাটা দিন কাটছে ল্যাপটপে (Laptop) মুখ গুঁজে। ৯ ঘন্টার শিফট হলেও কাজ শেষ হতে লেগে যাচ্ছে ১১ থেকে ১২ ঘন্টা। কারও কারও তারও বেশি। ঘুম থেকে উঠে থেকে ঘুমাতে যাওয়া, সারাটা সময় অফিসের চিন্তা। ছুটির দিনেও শান্তি নেই।  সেদিনও চলে কাজ। আর এর ফলে খারাপ প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত জীবনে। এবার থেকে মেনে চলুন এই কয়টি টিপস। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে কাজে আসবে এই টোটকা। 

শিফট শুরু আগে বাড়ির কাজ শেষ করুন। অনেকে অফিসের শিফট (Shift) চলার মাঝেই বারে বারে উঠে বাড়ির কাজ করে। এতে অফিসের কাজ শেষ হতে অধিক সময় লাগে। তাই এবার থেকে শিফট শুরু আগে সব কাজ মিটিয়ে বসবেন। 
 
খাটে বসে অনেকে কাজ করেন। এবার থেকে এই অভ্যেস বদল করুন। টেবিল চেয়ারে বসে কাজ করুন। এতে অফিসের কাজ তাড়াতাড়ি কাজ হবে। আর কাজ শেষে মাইন্ড ফ্রেশ (Mind Fresh) করা দরকার। সেক্ষেত্রে বিনোদনের জন্য সিনেমা দেখুন। মন ভালো থাকলে কাজে উদ্যোগ পাবেন।   

কাজে বসে সবার আগে প্ল্যানিং (Planing) করে নিন। সারাদিনের কাজের পরিকল্পনা করে কাজ করলে তা সময়ে শেষ হবে। কোন কাজের জন্য কতটা সময় লাগবে তা বরাদ্দ করুন। শিফট শুরু হলে সবার আগে প্ল্যানিং করুন। সেই মতো কাজ করবেন। 

আরও পড়ুন: CoronaVirus: বাড়িতে যদি করোনা রোগী থাকে, বিশেষ নজর দিন এই বিষয়গুলিতে

আরও পড়ুন: বিপদ ডেকে আনছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, বাড়ি বসে কাজ করতে গিয়ে বাড়ছে শারীরিক জটিলতা, জেনে নিন কী কী

  
অনেকেরই কাজ এগিয়ে নেওয়ার মনভাব থাকে। বদল করুন এই মানসিকতার। কাজে এগিয়ে নিতে গিয়ে বেশি কাজ করতে হয়। এতে সারাদিন কাটে ল্যাপটপের (Laptop) সামনে বসে। এর ফলে, তেমন লাভও হয় না। তাই যেদিনের যতটা কাজ, ততটাই করুন। এগিয়ে রাখতে গিয়ে বেশি কাজ করবেন না। 

না বলতে শিখুন। বাড়ি বসে কাজ করছেন বলে একের পর এক কাজের বোঝা বাড়বে এমন হতে পারে না। কাজের চাপ বাড়লে না বলতে শিখুন। যতটা আপনার পক্ষে করা সম্ভব, ততটাই করবেন। নিজের সমস্যা জানান, তা না হলে পরে সমস্যায় পড়বেন।