সংক্ষিপ্ত

 

  • ক্রমেই রাশিয়ার পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে
  • করোনা আক্রান্ত দেশ হিসাবে সপ্তম স্থানে পৌঁছে গিয়েছে
  • গত ২দিনে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি
  • একদিনে আক্রান্তের সংখ্যায় যা পৃথিবীতে রেকর্ড

পরপর ২দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ল রাশিয়া। রবিবার দেশটিতে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন ১০,৫৮১ জন। শনিবার রাশিয়ার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০,৬৩৩ জন। ফলে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৪৫ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। 

সদ্য পাওয়া পরিসংখ্যানের মতে বিশ্বে করোনা সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে রাশিয়া সপ্তম স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহেই চিন, তুরস্ক ও ইরানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে দেশটি। আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক রাজধানী মস্কোতে। সেখানে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন গড়ে প্রায় ২ হাজার জন মানুষ। পুরোপুরি লকডাউনের পথে না হাঁটলেও মার্চের শেষ থেকেই আংশিক লকডাউন জারি হয়েছে রাশিয়াতে ৷  করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিনও। 

করোনার সঙ্গেই এবার করতে হবে সংসার, লকডাউনে থাকা রাজধানীকে সচল করতে দাওয়াই কেজরির

লকডাউনের দেশে রেশনের থেকেও লম্বা লাইল মদের দোকানে, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই জমায়েত

কেন্দ্রকে চাপে ফেলে বড় ঘোষণা সনিয়ার, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার খরচ দেবে কংগ্রেস

গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। যার ফলে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩৫৬ জন। তবে প্রশাসনের কাছে একটাই স্বস্তির বিষয়, আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া এখন বিশ্বে সপ্তম হলেও করোনায় মৃতের হার যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং স্পেনের তুলনায় কম।

তবে দেশটিতে করোনভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নতুন আক্রান্তের দিক দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ছাপিয়ে যাচ্ছে আগের দিনের রেকর্ড। রাশিয়া এখনও করোনাভাইরাস মহামারীর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার হয়নি বলে সতর্ক করেছেন মস্কোর মেয়র সবইয়ানিন। মস্কোর অধিবাসীদের ২ শতাংশেরই করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে জানিয়েছেন তিনি। কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তেই থাকলে হাসপাতালেও অনেক রোগী চিকিৎসা পাবেন না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাশিয়ায় মার্চের শেষ দিক থেকে আংশিক লকডাউন জারি রয়েছে। ৩০ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষের পর দেশজুড়ে তা ১১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  ইউরোপের অন্য অনেক দেশের তুলনায় পরে মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় রাশিয়ায়  মৃত্যুর হার এখনও কম। কারণ করোনা দেরিতে আসায় প্রস্তুতির সময় পাওয়া গেছে বেশি।