সংক্ষিপ্ত
- করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়েছে রাশিয়াতেও
- আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি
- সেনাবাহিনীতে করোনা মহামারীর রূপ নিয়েছে
- দেশে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পথে পুতিন প্রশাসন
মহামারী করোনায় নাজেহাল গোটা বিশ্ব। পৃথিবীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাশিয়াতেও। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি। ফলে এবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে গেল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। দেশ টিতে নতুন করে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৬,১০০ জন। এদিকে করোনা ব্যাপক ভাবে থাবা বসিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে। কেবলমাত্র সেনাবাহিনীতেই কোভিড ১৯ রোগের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ২,০৯০ জন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, সেনাবাহিনীতে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন সেনা সদস্য, ক্যাডেট এবং সিভিল কর্মকর্তারা। সশস্ত্র বাহিনীতে গত মার্চ থেকে এপ্রিলের ২৬ তারিখ পর্যন্ত মোট ৮৭৪ জন সদস্য করোনা পজেটিভ হয়েছেন। তাঁদের সকলকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে রাশিয়ার মিলিটারি একাডেমি ও স্কুলে ৯৭১ জন ক্যাডেট এবং ২৪৫ জন সিভিল কর্মী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত রোগীদের বেশীরভাগেরই করোনার কোন লক্ষণ ছিল না।
আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১০ লক্ষ, জার্মানির মত চিনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবির পথে ট্রাম্প
করোনার ভ্যাকসিনের সঙ্গে এবার বাংলার যোগ, অক্সফোর্ডের গবেষক দলের সদস্য কলকাতার মেয়ে
দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়াল, জুলাই পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলতে পারে গুরগ্রামে
গত সপ্তাহেই রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম গুলো জানায়, মিলিটারি একাডেমি ও সৈন্যদের মধ্যে করোনা মহামারির রূপ নিয়েছে। আগামী ৯ মে রাশিয়ায় বিজয়দিবস অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, সেই প্যারেডের রিহার্সেলের পরেই এই প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে করোনা ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় মস্কোর কিরোভ মিলিটারি একাডেমির প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শেষ পাওয়া খবরে, করোনা ভাইরাসে রাশিয়া এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৯৪ জনের। তবে পুতিন প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে আক্রান্ত ব্যাপক হারে বাড়লেও মৃতের সংখ্যায় অনেকটাই রাশ টানতে পেরেছে মস্কো। এই অবস্থায় দেশে চলা লকডাউনের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ৩০ এপ্রিল। শোনা যাচ্ছে রাশিয়ার লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১২ মে পর্যন্ত করার পথে এগোচ্ছে প্রশাসন। যদিও এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কিছু ঘোষণা করেননি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।