সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যেই বেশ প্রথম দফার বৈঠকও হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। কিন্তু কিছুতেই মেলেনি সমাধান সূত্র। অবশেষে ফের আলোচনার রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছে দুই দেশ।

বিগত পাঁচ দিন ধরে ইউক্রেনের উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। তবে যে আশা থেকে তারা ইউক্রেনের উপর ঝাঁপিয়েছিল তা বর্তমানে বিফলে গিয়েছে বললেই চলে। রাশিয়ার থেকে ধরে-ভারে কম শক্তিশালী হয়েও বর্তমানে রুশ সেনাকে প্রবল পরাক্রমের সঙ্গে আটকে দিয়েছে ইউক্রেন। সেদেশের সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তায় নেমেছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। এমনকী ইউক্রেনের উপর হামলার জেরে বর্তমানে গোটা বিশ্ব মঞ্চেই কার্যত কোণঠাসা রাশিয়া। রণক্ষেত্রে এসে না দাঁড়ালেও বর্তমানে ইউক্রেনের পাশে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, জাপানের মতো শক্তিরা। তাতে চাপ বেড়েছে পুতিনের উপরেও। এমতাবস্থায় গতকাল থেকেই ধীরে ধীরে আলোচনার টেবিলেই সমাধানের রাস্তা খুঁজতে চাইছে রাশিয়াও। ইতিমধ্যেই বেশ প্রথম দফার বৈঠকও হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। কিন্তু কিছুতেই মেলেনি সমাধান সূত্র। অবশেষে ফের আলোচনার রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছে দুই দেশ। 


এদিকে প্রথম দফার বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সাফ দাবি ছিল শান্তি বৈঠকে অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করতে হবে। ইউক্রেন থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সরিয়ে নিতে হবে রুশ সেনাবাহিনীকে। এদিকে বৈঠক শুরুর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কথা হোক আগে। সমঝোতায় পৌঁছতে আমরা কী ভাবছি, সে নিয়ে এখনই কিছু বলব না।’’ যদি বৈঠক শেষের পর, সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি তাদের। তবে সমাধান যে এখনও বের হয়নি তা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের

আরও পড়ুন- কাজের চাপে আত্মহত্যা, রেলের কর্মীর মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ হাওড়ার লিলুয়া ইয়ার্ডে

আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার

এমতাবস্থায় এবার ফের দ্বিতীয় পর্যায়ে ফের বৈঠক বসবে দুই দেশ। দুই দেশই এখন তার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে গত ৫ দিন ধরে কিয়েভের বাইরে রাশিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইউক্রেন। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে কঠিন হতে চলেছে। একই সময়ে, জি-৭ নেতারা ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের দাবি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব দেশ ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। 
এদিকে শেষ পাওয়া আপডেট বলছে রাশিয়া হামলায় এখনও পর্যন্ত ৩৫২ জন সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন। হতাহের মধ্যে বহু শিশুও রয়েছে। ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদে বহু দেশ নিজেদের আকাশসীমায় রুশ বিমানের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিও। আর এতেউই চাপ বেড়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপরেও।