সংক্ষিপ্ত
এরইমধ্যে পশ্চিমের বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানি রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের সাথে হাত মিলিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে পুতিন সরকারকে ইউক্রেনের উপর ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে বাধ্য করার এটাই সর্বোত্তম উপায়।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পরেই গোটা বিশ্বেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে রাশিয়া। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পথে হেঁটেছে আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো প্রবল শক্তিশালী দেশগুলি। এদিকে এর জেরে রাশিয়া সঙ্কটের মধ্যে পড়লেও মাথাচাড়া দিচ্ছে অন্য ভয়। কারণ রাশিয়ার উপরেও একাধিক বিষয়ে নির্ভরশীল বিভিন্ন দেশ। এবার সেই পুতিনের দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘুরিয়ে তাদের উপরেও বুম্যেরাং হয়ে দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে রাশিয়ান সেনা(Russian army) ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর ৯ দিন পার হয়ে গিয়েছে। এদিকে এরইমধ্যে পশ্চিমের বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানি রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের সাথে হাত মিলিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে পুতিন সরকারকে ইউক্রেনের উপর ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে বাধ্য করার এটাই সর্বোত্তম উপায়। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণ দিতে পারছেন না আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও।
এদিকে ইতিমধ্যেই আবার ইউক্রেনীয় সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিপি, শেল এবং নরওয়েজিয়ান ইকুইনোর সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা মস্কো থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তাতেও বেড়েছে উদ্বেগ। এদিকে একাধিক রাশিয়ান সংস্থার বাজার দর গত কয়েক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে ভূপতিত হয়েছে। সামরিক অভিযান ঘোষণার পর থেকে স্টক ও ডেরিভেটিভ মার্কেট খোলাই হয়নি। বহু বহুজাতিক কোম্পানি রাশিয়ান বাজার থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে বিশ্বের অন্যতম বড় বড় বিদ্যুত সংস্থা, অটো মোবাইল সংস্থা, তথ্য-প্রযু্ক্তি সংস্থা সবই রয়েছে রাশিয়ায়। বর্তমানে সেসবের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপালে গোটা বিশ্ববাজারেই তার একটা বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এই প্রসঙ্গে বার্কলেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিশু রঞ্জনের মতে, অ্যাপল, ফেসবুক ইউটিউব এবং অন্যান্য কোম্পানির মতো কোম্পানিগুলি রাশিয়ার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা আদপে একটি হটকারী সিদ্ধান্ত। কারণে এতে রাশিয়ার যত না ক্ষতি হবে তার থেকে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি এই সংস্থা গুলির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাত ভাবে তা দেখতে পাওয়া না গেলেও দীর্ঘমেয়াদে তা দেখতে পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি পড়ার কোনও সম্ভাবনা আপাতত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেখানেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ।