সংক্ষিপ্ত

পোল্যান্ডের সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে বিশাল এক ইউক্রেনিয় সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় ৩০টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। এই হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।


রণডঙ্কা থামার কোনও লক্ষণই আপাতত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টে দিনে দিনে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে রাশিয়া। এবার ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছে পশ্চিম ইউক্রেনের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা(missile attack on a military base in Ukraine) চালিয়েছে পুতিন সেনা। যা নিয়েই নতুন আলোড়ন তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন শহরটির মেয়র আনদ্রি সাদোভি। লভিভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে রাশিয়ার সেনারা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পিসকিপিং অ্যান্ড সিকিউরিটি নামে একটি সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে৷ যে কারণেই এত বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। 

সূত্রের খবর পোল্যান্ডের সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে বিশাল এক ইউক্রেনিয় সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় ৩০টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। প্রায় ৩৯০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ইয়াভোরিভ সামরিক ঘাঁটিতে নেটো বাহিনীর সাথে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী যৌথ মহড়া করতো। ন্যাটো প্রশিক্ষকরা ইউক্রেনের সৈন্যদের প্রশিক্ষণও দিত এখানে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পোল্যান্ড ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক সাহায্যের প্রধান ট্রানজিট রুট। এদিকে ইতিমধ্যেই সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ না হলেও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে একাধিক পশ্চিমা দেশই সমরাস্ত্র পাঠিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। আর তার বেশিরভাগই গিয়েছে পোলান্ড সীমানা দিয়ে। 

আরও পড়ুন- পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলরকে গুলি করে খুন, অকুস্থল পরিদর্শনে এলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার

আরও পড়ুন- বিএসএফ-র তৎপরতায় আটকাল পাচার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ফিরে গেল ২ যুবতী

এসব অস্ত্রের মাধ্যমে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের তাদের দেশ রক্ষায় সহায়তা করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই এখানে নজর পড়েছে রুশ সেনার। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের বিমান হামলায় ইউক্রেনের জন্য অন্যান্য দেশ থেকে পাঠানো বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বড় সাফল্য পেয়েছে রুশ সেনা। এছাড়াও এই হামলায় '১৮০ জন বিদেশি ভাড়াটে' সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। যদিও তাদের দাবি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতর। অন্যদিকে রাশিয়ার এই হামলার পরেই সরব হয়েছে আমেরিকাও। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন যে ন্যাটো অঞ্চলে যে কোনও আক্রমণের কড়া জবাব দেওয়া হবে। তার এই বক্তব্যের রেশ ধরেই বাড়ছে আশঙ্কা। তবে কী এবার সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে মার্কিন সেনা? সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। 

আরও পড়ুন- অসম-বাংলা সীমান্তে ট্রাক থেকে উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু, গ্রেফতার দুই পাচারকারী