সংক্ষিপ্ত

মারিউপোল নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি এই শহরে প্রায় ৬ দিন ধরে রুশ সেনা বাহিনীর স্থানীয় বাসিন্দাদের আটকে রেখেছে। অধিকাংশ মানুষই রুশ হামলার হাত থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। 

কিয়েভ আত্মসমর্পণ (surrender) করলে তবেই রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে (Russia-Ukraine war) বিরত হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তবে কিয়েভ (Kyiv)এখনও আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয়। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের প্রায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে অন্যত্র চলে গেছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ১২তম দিনে বিপর্যস্ত বন্দর শহর মারিউপোল (mariupol)। গোটা শহর অবরুদ্ধ। এই শহর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ এদিন দ্বিতীয়বারের মত ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেন সেনা বাহিনী সূত্রের খবর মাইকোলাইভের বাইরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে প্রবল যুদ্ধ চলছে। এই শহরটি কৌশলগত দিক থেকে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই শহরটি দখল করতে পারে রুশ সেনা বাহিনীর জন্য বন্দর শহর ওডেসার পথ অনেক সহজ হয়ে যাবে। 

অন্যদিকে মারিউপোল নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি এই শহরে প্রায় ৬ দিন ধরে রুশ সেনা বাহিনীর স্থানীয় বাসিন্দাদের আটকে রেখেছে। অধিকাংশ মানুষই রুশ হামলার হাত থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানেই খাবার আর জলের সংকট দেখা দিয়েছে। গোটা শহরে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ আর জল পরিষেবা।  রাশিয়ার হামলার কারণে ভেঙে পড়েছে  সমস্ত নাগরিক পরিষেবা। এই শহরে শুক্রবার ৫ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। এই সময়ের মধ্যেই সাধারণ নাগরিকদের শহর ছেড়ে পালাতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনের অভিযোগ যুদ্ধ বিরতি ভেঙে রুশ সেনা গোলা-গুলি বর্ষণ করে। তাতে ব্যহত হয়েছে উদ্ধারকাজ। যদিও রাশিয়া উদ্ধারকাজ ব্যহত হওয়ার জন্য ইউক্রেন প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।

 আলোচনা বা যুদ্ধ- যেকোনও কোনও কিছুর মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনে (Russian-Ukraine)লক্ষ্য পুরণ করবে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রোঁ ও তুরস্কের প্রধান এদোরগানের সঙ্গে কথা বলার সময়  এমনটাই জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ladimir Putin)। প্রবল ধ্বংসলীলা দেখার পরেই ইউক্রেন থেকে পিছিয়ে আসতে রাজি নন পুতিন। এদিন তাঁর কথাতেই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৫১ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাশিয় দাবি করেছে ৪৯৮ জন রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্র সংঘের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পোল্যান্ড, রোমানিয়া, মলদোভার শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে প্রচুর মানুষ। অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিবাদ জানানোর জন্য এখনও পর্যন্ত রাশিয়া ১১০০ জনকে আটক করেছে। 

রবিবার পুতিন ফরাসি প্রসেডিন্টে ইমানুয়ের ম্যাক্রোর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি মারিউপোল ইস্যুতে ইউক্রেন সরকারকেই দাবি করেছেন। এই শহর থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যেতে কিয়েভ ব্যার্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। গতকালই এই শহরে পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছিল রুশ সেনা।  অন্যদিকে এদিন পুতিন জানিয়েছেন রাশিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লিতে হামলার কোনও পরিকল্পনা নেই। অন্য়দিকে তিনি এদিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এদোরগানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যুদ্ধ তখনই থামবে যখন ইউক্রেন সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া বন্ধ করবে। কিয়েভ মস্কোর সমস্ত দাবি মেনে নিলেই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে বলেও পুতিন জানিয়েছেন। আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট মস্কোতে রাশিয়ার প্রসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে তিনি ইউক্রেন যান। কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে। তারপরই তিনি দেশে ফেরেন। তিনি জানিয়েছেন শান্তি স্থাপনের জন্য তিনি একটি চেষ্টা করেছিলেন। এটি তাঁর নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে তিনি চেষ্টা করেছিলেন।