সংক্ষিপ্ত
সদগুরু বলেন, এখন আমরা খাদ্য গ্রহণ করছি। কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে আর খাদ্য থাকবে না।
মাটি বাঁচাও আন্দোলন শুরু করেছেন ইশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদগুরু জগ্গি বাসুদেব। ইতিমধ্যেই তিনি আফ্রিকার দেশগুলিকে তাঁর কর্মকাণ্ডে সামিল করেছেন। এবার তিনি মনেনিবেশ করেছেন ইউরোপে। এরই মধ্যে সদগুরু সেভ সয়েল মুভমেন্ট নিয়ে হাজির হয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। এই দিনটি তাঁর কাছে বিশেষ দিন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে একটি বৈঠকের পর তিনি ইউএনওজি-এর মাটি বাঁচাও আন্দোলন সম্পর্কে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের ভাষণে সদগুরু তুলে ধরেন মাটির গুরুত্ব। প্রত্যেকটি দেশের কাছে গণতন্ত্র যতটা গুরুত্বপূর্ণ মাটিও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে মাটি-র দিকে তেমন দৃষ্টি দেওয়া হয়নি। তাই মাটি ক্রমশই ক্ষয়ে যাচ্ছে। এই মাটিকেই বাঁচিয়ে তুলতে হবে বলেও রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদের কাছে আর্জি জানান সদগুরু।
এদিন সদগুরু বলেন, এখন আমরা খাদ্য গ্রহণ করছি। কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে আর খাদ্য থাকবে না। আমরা যে শিশুভূমিষ্ঠ হয়নি তাদের খাদ্য গ্রহণ করছে। এটা একটা অপরাধ। কারণ আগামী দিনে মাটির ক্ষয় আরও সংকট তৈরি করবে। তাই আমরা যা করছি সেটা মানবিকতার কাছে একটি গুরুতর অপরাধ। তিনি আরও বলেন মাটি তৈরি করতে ও তাকে চাষের উপযুক্ত করতে সময় লাগে কমপক্ষে ৮-২০ বছর। তাই এখন থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি।
সেভ সয়েল - এই আন্দোলনকে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে পরিণত করতে চাইছেন সদগুরু। ইশা ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য মাটির গুণামান বজায় রাখা ও তা সংরক্ষণ করা। এই কাজে বিশ্বের সব মানুষকে একত্রিত করাও এই সংগঠনের অন্যতম লক্ষ্য। আবাদি জমির পরিমাণ বাড়ানো এই আন্দোলনের অন্যতম একটি লক্ষ্য।