সংক্ষিপ্ত

  • দ্রুত হারে বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর
  • ফলে আগামী ১০০ বছরের মধ্য়েই জলের তলায় চলে যাবে শহর কলকাতা
  • ভারতের আরও তিন উপকূলবর্তী শহর - মুম্বই, চেন্নাই ও সুরাট-ও চলে যাবে সমুদ্রের গ্রাসে
  • রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনের কমিটি এই ইঙ্গিতই দিয়েছে

যেরকমটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তার থেকেও দ্রুত হারে বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। তার ফলেই আগামী ১০০ বছরের মধ্য়েই জলের তলায় চলে। যাবে শহর লকাতা। তবে শুধু কলকাতা নয়, ভারতের আরও তিন উপকূলবর্তী শহর - মুম্বই, চেন্নাই ও সুরাট-ও চলে যাবে সমুদ্রের গ্রাসে। সেই সঙ্গে হিমালয়ের হিমবাহগুলির বরফ গলার ফলে উত্তর ভারতের আরও বেশ কিছু শহরও জল নিয়ে সমস্য়ায় পড়বে। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনের কমিটি এই ইঙ্গিতই দিয়েছে।

এখন যেভাবে চলছে, সেভাবেই চললে ২১০০-এর মধ্যে সমুদ্রের জসলস্তর ১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যাবে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে ১.৪ বিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ। আর মাত্র ৫০ সেন্টিমিটার জলস্তর বাড়লেই ডুবে যাবে ৪টি ভারতীয় শহরের মতো মোট ৪৫টি উপকূলবর্তী শহর। যার মধ্য়ে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কও। যে শহরে খোদ রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতর।

আইপিসিসি জানিয়েছে, আগে এক শতকে য়ে ধরণের ঘটনা একবার ঘটত, এখন অনেক জায়গাতেই সেই ধরণের ঘটনা আগামী ৫০ বছরের মধ্য়ে প্রত্যেক বছরই ঘটবে। তাতে নিচু উপকূলবর্তী এলাকা ও ছোট দ্বীপগুলি ডুবে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

আইপিসিসি আরও জানিয়েছে ১৯৮২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সামুদ্রিক হিট ওয়েভের সংখ্যা আগের থেকে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বব্যপী সামুদ্রিক জলস্তর ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রত্যেক বছর জলস্তর বাড়ছে ৩.৬ মিলিমিটার হারে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য যে হারে তাপাত্রা বাড়ছে, তাতে ২১০০-এ ৩.৫ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত  বাড়তে পারে তাপমাত্রা। ফলে হিন্দুকুশ হিমালয় এলাকার হিমবাহগুলি ৩৬ থেকে ৬৪ শতাংশ গলে যাবে। য়ার ফলে ওই এলাকায় জলের অভাব দেখা দিতে পারে। ব মিলিয়ে এই এলাকার ২৪০ মিলিয়ন মানুষ বিপদে পড়বেন।