সংক্ষিপ্ত
- মারণ রোগের জোড়া ফলাকে জয় এক লন্ডন নিবাসীর
- ২০০৩ সালে তাঁর শরীরে এইচআইভি ধরা পড়ে
- ২০১২ সালে তিনি আক্রান্ত হন ব্লাড ক্যানসারে
- স্টেম সেল থেরাপিতে নতুন জীবন পেলেন যুবক
এইডস মানেই । এমন ধারণার পোষণ করেন অধিকাংশ মানুষ। সাধারণত এইডসে আন্তান্ত হলে রোগীর প্রাণসংশয় তৈরি হয়। কিন্তু সবাইকে এবাক করে দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এইডস মুক্ত হয়ে নজির গড়লেন লন্ডননিবাসী এক যুবক। নিজের পরিচয় লুকিয়ে না রেখে এখন প্রকাশ্যে তাঁর ফিরে আসার গল্প শোনাচ্ছেন অ্যাডাম ক্যাস্টিজেলো।
আরও পড়ুন: কৃষি পণ্য পরিবহণ নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ১ এপ্রিল থেকে উঠে যাচ্ছে চেকপোস্ট
চিকিৎসা পদ্ধতি শেষ হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পরেও অ্যাডাম ক্যাস্টিজেলোর শরীরে নতুন কের এইচআইভি সংক্রমণের প্রমাণ মেলেনি। এরপরেই তাঁকে সুস্থ বলে দাবি কেরেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা অবশ্য দাবি করছেন, কোনও ওষুধ নয় বপং স্টেম সেল চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন অ্যাডাম। জানা যাচ্ছে অ্যাডাম ব্লাড ক্যানসারেও আক্রান্ত ছিলেন। সেই কারণেই এক সুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে স্টেম সেল নিয়ে তাঁর শরীরে প্রতিস্থাপিত করা হয়। আর তা থেকে ক্যানসার তো বটেই, অ্যাডামের শরীরে এইচআইভি জীবানু প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষমতাও তৈরি হয়। ফলে এইচআইভি-র চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপি বন্ধ হওয়ার প্রায় আড়াই বছর পরেও সুস্থ জীবন কাটাচ্ছেন ৪০ বছরের অ্যাডাম।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ছাড়াল ৪ হাজারের গণ্ডী
এর আগে ২০১১ সালে টিমোথি ব্রাউন নামে বার্লিনের এক রোগী একই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আর এবার স্টেম সেল থেরাপি দিয়ে অ্যাডাম ক্যাস্টিজেলোকে সুস্থ করে তুললেন ভারতীয় গবেষক রবীন্দ্রকুমার গুপ্ত। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম শীর্ষ গবেষক রবীন্দ্রকুমার গুপ্ত বলেন, জিন থেরাপি চমক দেখিয়েছে, এভাবে এইচআইভিকে নিশ্চিতভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব। ভারতীয় গবেষকের চিকিৎসায় মারণ রোগমুক্তিতে এক নতুন দিশা পেল বিশ্ব।