সংক্ষিপ্ত
- দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় ক্ষমতবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অস্বাভাবিক মৃত্যু
- ব্যক্তিগত সচিবদের একজন যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেন
- এরপরেই নিজের সরকারি বাসভবন থেকে উধাও হয়ে যান মেয়র
- "আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী", নোটে লিখে গেলেন পার্ক ওন সুন
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সব যোগ্যতাই ছিল, কিন্তু তার আগেই হঠাৎ করেই চলে গেলেন দেশের রাজধানী সিওলের মেয়র পার্ক ওন সুন। নিখোঁজ হওয়ার ৭ ঘণ্টা পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করল দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর সিওলের মাউন্ট বুগাক এলকায় মনোরম পাহাড়ি একটি রেস্তোরাঁর কাছে মরদেহটি খুঁজে পায়। তবে মেয়রের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর আত্মহত্যার একটি নোট মিলেছে, যেখানে লেখা ছিল, "আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী"।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন আসতে আর কতদিন লাগবে, সময় জানিয়ে দিলেন গবেষকরা
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ নাগাদ সিওলের মেয়র পার্ক ওন সুন তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান। তারপর আর ফেরেননি। কোনও সন্ধান না মেলায় সন্ধ্যা নাগাদ তাঁর মেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই তাঁর খোঁজে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে, রাতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মেয়রকে।
আরও পড়ুন: চিনের সাহায্যে নেপালে গদি বাঁচাতে মরিয়া ওলি, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলছে, পার্ক ওন সুনের ব্যক্তিগত সচিবদের একজন মেয়রের বিরুদ্ধে গত বুধবার যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ২০১১ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলের মেয়র পদে ছিলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী পার্ক। এক কোটি মানুষের শহর সিওলে করোনা মহামারি রোধে তাঁর ভূমিকা বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ পার্ক ওন সুনকে ২০২২ সালে দেশটিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবেও দেখা হচ্ছিল। লিঙ্গ সমতার আন্দোলনের জন্য তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনার দ্বারা যৌনদাসের শিকার নারীদের আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ৬৪ বছরের পার্ক।