বিশ্বকে কোভিড টিকা দিয়ে সাহায্য করবে ভারত
কয়েক মাসে বারবার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
টিকা পেতে সেরাম-কে ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ
কিন্তু, ভারত সরকারের নির্দেশে আটকে যেতে পারে তাদের টিকা প্রাপ্তি
বিশ্বের সব দেশকেই টিকা দিয়ে কোভিড মোকাবিলায় সাহায্য় করবে ভারত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে গত কয়েক মাসে বারবার বলেছেন প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সেই প্রতিশ্রুতি আরও একবার ঝালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, বর্তমানে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, যে ভারত সরকারের নির্দেশই, টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য, যা নিয়ে প্রতিবেশি দেশে এখন গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা'র তৈরি কোভিড টিকা, কোভিশিল্ড-এর ৫০ লক্ষ ডোজ টিকা দেওয়ার কথা ছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের। বাংলাদেশ সরকার সূত্রে তাই জানানো হয়েছিল। এই ভাবে প্রতি মাসে ৫০ লক্ষ ডোজ করে, ৩ কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা সংগ্রহ করতে চাইছে ঢাকা। আর এর জন্য রবিবারই (৩ জানুয়ারি) অগ্রিম হিসেবে সেরাম ইনস্টিটিউটের অ্যাকাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। ভ্যাকসিন আসার খবরে বাংলাদেশিরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কিন্তু, পরদিনই স্বস্তিকর জায়গা নিয়েছে উদ্বেগ।
সোমবার, সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তা আদর পুনাওয়ালার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারতের বাইরে অন্য কোনও দেশে টিকা রপ্তানি করতে পারবে না সেরাম ইনস্টিটিউট। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত নির্দেশ না এলেও, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা এই বিষয়ে এইরকমই ইঙ্গিত পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের যে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, তাতে ,সেরাম এই মুহূর্তে কোভিশিল্ড খোলা বাজারে বিক্রি বা বিদেশে রফতানি করতে পারবে না। তবে, ভারত-সহ সবাইকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের মজুদ রয়েছে সেরামের হাতে, বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
তবে তাতে বাংলাদেশ আশ্বস্ত হচ্ছে কই? গোটা দেশজুড়েই এই নিয়ে চরম হতাশা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় হাসিনা সরকারও বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সংবাদমাধ্যম ছাড়া আর কোথাও তিনি শোনেননি। এই বিষয়ে তাঁরা ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এবং ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু, দুই কার্যালয় থেকেই ঢাকাকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য নেই তাঁদের কাছে। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানানো হবে। এই ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ঢাকা। তাদের আশা, যদি এই রকম কোনও নিষেধাজ্ঞা জারিও করে ভারত সরকার, তাহলেও উষ্ণ সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ-কে ব্যতিক্রমের তালিকায় রাখবে ভারত। আর ঢাকারও নির্ধারিত সময়ে টিকা পেতে কোন সমস্যা হবে না।
Read Exclusive COVID-19 Coronavirus News updates, from West Bengal, India and World at Asianet News Bangla.
খেলুন দ্য ভার্চুয়াল বোট রোসিং গেম এবং চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। கிளிக் செய்து விளையாடுங்கள்
Last Updated Jan 4, 2021, 9:10 PM IST