সংক্ষিপ্ত
- চিনে স্মার্টফোনের চাহিদা ক্রমশ নিম্নমুখী
- জুন মাসে ১৬ শতাংশ কমল সরবরাহ
- গত মে মাসেও চিত্রটা একই রকম ছিল
- চিন্তার ভাঁজ ক্রমেই লম্বা হচ্ছে চিনা সংস্থাগুলির কপালে
গত বছরের তুলনায় চিনে স্মার্টফোনের চাহিদা কমেছে ১৬ শতাংশ। সোমবার প্রকাশিত এক সরকারি হিসেবে এমনটাই জানা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে করোনা মহামারির প্রভাবেই চিনে হ্যান্ডসেটের চাহিদা হ্রাসের মূল কারণ। বর্তমানে চিন করোনা সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারলেও নিজের দেশেই স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়াতে ব্যর্থ
স্মার্টফোনের চাহিদা যেমন কমেছে চিনে, তেমনি তার সঙ্গে তাল রেখে কমেছে উৎপাদনও। চলতি বছর জুনে দেশটিতে ফোন তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলো ২৭.৭ মিলিয়ন হ্যান্ডসেট তৈরি করে। গত বছর জুনে এই সংখ্যাটাই ছিলো ৩২.৭ মিলিয়ন। চিনা অ্যাকাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (সিএআইসিটি) সার্ভেতে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ফেস শিল্ড না মাস্ক, করোনা সংক্রমণ আটকাতে কাকে এগিয়ে রাখছেন বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞরা
চিনে জুন মাসের মত স্মার্টফোনের চাহিদা মে মাসেও কমতে দেখা গিয়েছিল। মে মাসে ১০ শতাংশ উৎপাদন হ্রাস পায়।গত বছর এই সময়ে চিন ৩৬.৪ মিলিয়ন স্মার্টফোন বিশ্বের বাজারে রফতানি করেছিল, চলতি বছর মে মাসে সেই সংখ্যাটা কমে হয় ৩২.৬ মিলিয়ন।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত এপ্রিলেই অপ্রত্যাশিতভাবে চিনে স্মার্টফোন সরবরাহ ১৭ শতাংশ বেড়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সিএআইসিটি। এপ্রিল মাসে সরবরাহ বাড়ার কারণে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছিলো চিনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো। এর আগে কয়েক বছর ধরেই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর স্মার্টফোন বিক্রির বৃদ্ধির হার ক্রমশ কমছিলো দেশটিতে।
করোনাভাইরাস মহামারির পর অল্প কিছু দেশে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রগুলো পুনরায় পুরোপুরি খুলেছে, এর মধ্যে একটি হল চিন। এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব পড়েছে অ্যাপল এবং হুয়াওয়ের মতো বিশ্বখ্যাত মোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও।