সংক্ষিপ্ত
দোষীসাব্যস্ত হওয়া ওই শিক্ষিকার নাম হ্যানা হ্যারিস (২৩)। হার্টফোর্ডশায়ারের একটি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। আর সেই স্কুলেরই ছাত্র ছিল ওই কিশোর। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। না না রকম অছিলায় সেই ছাত্রকে নিজের কাছে ডাকার চেষ্টা করতেন হ্যানা।
বাবা-মায়ের উপর বাচ্চাদের (Children) প্রাথমিক শিক্ষার (Education) ভার থাকলেও, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও (Teacher) বাচ্চাদের সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অনেকটা বড় ভূমিকা পালন করেন। কারণ অনেক শিক্ষকই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আদর্শ হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু, সেই শিক্ষকরাই যদি পড়ুয়াদের (Student) বিপথে যেতে বাধ্য করেন তা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তা কল্পনাতীত। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের (England) হার্টফোর্ডশায়ারে (Hertfordshire)। নিজের ১৪ বছর বয়সী ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এক শিক্ষিকা। তাও আবার সুপারমার্কেটের (supermarket car park) গাড়ি রাখার জায়গাতেই। আর এই ঘটনার দোষীসাব্যস্ত হওয়ার পর ওই শিক্ষিকাকে ৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দোষীসাব্যস্ত হওয়া ওই শিক্ষিকার নাম হ্যানা হ্যারিস (২৩)। হার্টফোর্ডশায়ারের একটি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। আর সেই স্কুলেরই ছাত্র ছিল ওই কিশোর। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। না না রকম অছিলায় সেই ছাত্রকে নিজের কাছে ডাকার চেষ্টা করতেন হ্যানা (Hannah Harris)। এরপর অনেক বুঝিয়ে সেই ছাত্রর সঙ্গে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ও ২০২০ সালের জানুয়ারিতে যৌন সম্পর্কে স্থাপন করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- রুশ পাইলটের যুদ্ধ বিরোধী মন্তব্য, শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে নাতো- আশঙ্কায় নেটদুনিয়া
তবে ওই ছাত্রের প্রতি হ্যানার আচরণ চোখে লেগেছিল তাঁর সহকর্মীদেরও। আর সেই কারণে হ্যানাকে একাধিকবার সতর্কও করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কারও কথায় কোনও গুরুত্ব দেননি তিনি। নিজের মতো করেই সেই ছাত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতেন হ্যানা। পাশাপাশি স্কুলের বাইরেও তার সঙ্গে দেখা করতেন। এমনকী, কখনও পছন্দের মিষ্টি কিনে দেওয়া তো কখনও খাওয়াতে নিয়ে যাওয়া আবার কখনও গাড়ির মধ্যে বসে ধূমপান করতে দেওয়ার মতো না না রকম টোপ দিয়ে ওই ছাত্রর সঙ্গে দেখা করতেন। আর তার বিনিময় নিজের যৌন লালসা মেটাতেন হ্যানা।
আরও পড়ুন- ১২ ফুটের দেওয়ালে চড়ে তাক লাগিয়ে দিল কিশোরী, নেটিজেনরা মুখে শুধুই 'স্পাইডার-গার্ল'
এদিকে সন্তানের সঙ্গে যে এত কিছু হয়ে যাচ্ছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি ওই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। এরপর একদিন ওই ছাত্রের এক কাল্পনিক গার্লফ্রেন্ডের মা পরিচয় দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে সোজা সুপারমার্কেটে নিয়ে গিয়েছিলেন হ্য়ানা। বিষয়টি খটকা লেগেছিল ছাত্রের দাদার। তখনই তাদের পিছু নিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেই সময় অর্ধনগ্ন অবস্থায় সুপারমার্কেটের গাড়ি পার্কিংয়ে থাকা একটি গাড়ির মধ্যে থেকে হ্যানা ও নিজের ভাইকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান অভিভাবকদের।
এই ঘটনার পরই এক কিশোরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অপরাধে গ্রেফতার করা হয় হ্যানাকে। যদিও সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ওই ছাত্রের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়নি। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হ্যানাকে দোষীসাব্যস্ত করে সেন্ট অ্যালবানস ক্রাউন কোর্ট। এরপর তাঁকে ৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারক ক্যারোলিন ইউগিন হ্যানার উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনার এই কাজ ওই কিশোরের উপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে। যাঁরা আপনাকে সতর্ক করেছিলেন তাঁদের কারও কথায় আপনি গুরুত্ব দেননি।"
তবে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় ২৮ বছর বয়সী এক স্কুলশিক্ষিকা বৃটানি জামোরা তাঁরই মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। কখনও নিজের গাড়িতে, কখনও ক্লাসরুমে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। এই অপরাধের জন্য তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।