সংক্ষিপ্ত
বিহারে পাটনার বাসিন্দা ১১ বছরের অক্ষিতা গুপ্তা (Akshita Gupta) ও তাঁর ৯ বছর বসয়ী বোন কৃপিতা গুপ্তা । দুই বোন যেন বাস্তবের স্ফাইডার ম্যান হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি অক্ষিতা গুপ্ত তরতরিয়ে উঠে গেছে ১২ ফুট লম্বা দেওয়া। অক্ষিতা জানিয়েছে বোনকে নিয়েই সে এই অসাধ্য সাধনের অনুশীলন করেছে।
মাকড়সা বালিকা (Spider Girl )- এমনটাই তমকা পেয়েছে বিহারের (Bihar) দুই কিশোরী। তাদের কাণ্ডকারখানা দেখে রীতিমত অবাক সোশ্যাল মিডিয়ায়। বোনকে সঙ্গে নিয়ে তরতরিয়ে উঠে যাচ্ছে দেওয়ালে। কখনও আবার পিলারে চড়ে চমকে দিচ্ছে সকলকে। হারমানাচ্ছে সিনেমার স্পাইডার ম্যানকেও। তাদের তাই এই কীর্তি দেখে রীতিমত হুঁশ উড়েছে নেটিজেনদের। তবে সম্প্রতি দুই বোন কোনও অবলম্বন ছাড়াই ১২ ফুট উঁচু দেওয়া বেয়ে উঠে এক অনন্য নজির তৈরি করেছে।
বিহারে পাটনার বাসিন্দা ১১ বছরের অক্ষিতা গুপ্তা (Akshita Gupta) ও তাঁর ৯ বছর বসয়ী বোন কৃপিতা গুপ্তা । দুই বোন যেন বাস্তবের স্ফাইডার ম্যান হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি অক্ষিতা গুপ্ত তরতরিয়ে উঠে গেছে ১২ ফুট লম্বা দেওয়া। অক্ষিতা জানিয়েছে বোনকে নিয়েই সে এই অসাধ্য সাধনের অনুশীলন করেছে। সম্প্রতি এই অবাক করা কাজে তার যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে ৯ বছরের ছোট্ট বোন। তেমনই দাবি করেছে অক্ষিতা।
সম্প্রতি তারা দুই বোনে মিলে ১২ ফুটের পিলার বেয়ে উঠে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রশ্নের উত্তরে অক্ষিতা জানিয়েছে, তার বাবা মা প্রথমে তাদের এই কাজে সমর্থন জানায়নি। খুবই বকাঝকা করেছে। তাই প্রথম দিকে বাবা মা যখন কাজের জন্য বাড়ির বাইরে যায় তখনই তারা অনুশীলন শুরু করে দিত। প্রথমে বাড়ির পাঁচিলে চলত তাদের অনুশীলন। দেওয়াল বেয়ে উঠে পাঁচিলের ওপর দিয়ে হাঁটা শুরু করে তারা। এখন সে এতটাই দক্ষ যে গ্র্যানাইটের মসৃণ দেওয়াও মাকড়সার মতে বেয়ে উঠে যেতে পারে।
অঙ্কিতা আরও জানিয়েছে প্রথম দিকে মা ও বাবা যখন তাতে এভাবে পাঁচিল বেয়ে উঠে যেতে দখত তখন তাঁরা খুবই অবাক হয়ে যেতেন। বারবার নিষেধ করতেন। বারবার বারন করেছেন অভিভাবকরা। কিন্তু তাঁদের কথা কানেও তোলেনি অক্ষিতা। তেমনই জানিয়েছে মাকড়সা বালিকা।
অক্ষিতা জানিয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সে দিনের পর দিন অনুশীলন চালিয়ে যায়। পরবর্তীকালে সে সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় তার বোনকে। দিদিকে দেওয়ালে চড়তে দেখে বোনও যে খুব উৎসাহী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দিদির মত সেও দেওয়ালে দেওয়ালে ঘুরে বেড়াতে চায় বলেও জানিয়েছে।
কিন্তু অক্ষিতাদের মা সঙ্গীতা গুপ্ত একটা সময় মেয়ের এই দেওয়ালে চড়া রীতিমত বকাঝকা করেছিলেন। মেয়ের এই কাজকর্মকে নেহাতই দস্যিপনা বলে ধরে নিয়ে নিষেধ করেছিলেন। আর কিন্তু তিনি তাঁর দুই মেয়ের কাণ্ডকারখানায় রীতিমত গর্বিত। বারবার জানিয়েছেন তাঁর মেয়েরা আগামী দিনে বিশ্ব রেকর্ড করবে। কোনও রকম অবলম্বন ছাড়া হিমালয়ও উঠতে পারবে।