সংক্ষিপ্ত

  • ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়
  •  এই ঘটনায় ১৭৬ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়
  • এই ঘটনার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার শিকার হয় ইরান
  • শনিবার ইরানে হয়েছিল সরকারের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সমাবেশ

৭ জানুয়ারি ভোররাতে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান তেহরানের ইমাম খোমেনি আর্ন্তজাতি বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় ১৭৬ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার শিকার হয় ইরান। এমনও অভিযোগ ওঠে, ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতেই বিধ্বস্ত হয় যাত্রী বোঝাই বিমানটি। এই বিষয়ে কানাডার প্রধাণমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জানান সম্ভবত ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতেই বিমানটি ধ্বংস হয়। সেই বিমানে ৬৩ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন।

আরও পড়ুন- 'হিউম্যান এরর'-এ প্রাণ গেল ১৭৬ জনের, ইরানের স্বীকারোক্তি ঘিরে বিশ্বজুড়ে তীব্র ক্ষোভ

তেহরানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার ইরানে হয়েছিল সরকারের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সমাবেশ। সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ইরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকএয়ার। ইরানের রাজধানী তেহরানের আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন তেহরান সরকার আটক করে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত-কে। এ সময় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সমাবেশে ছিলেন এবং তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে দুস্কৃতিকারীদের উসকে দেয়ার মত তৎপরতা চালান।

আরও পড়ুন- 'মুর্শিদাবাদের হিন্দুরা বাংলাদেশের হিন্দুদের মতোই থাকে', বিস্ফোরক দাবি মোহিত রায়-এর

স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী,  বিট্রিশ পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রব, ম্যাকএয়ার-এর এই গ্রেপ্তারের বিষয়কে আর্ন্তজাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন। এদিকে ইরানের সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকএয়ার। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তেহরানে তিন ঘন্টা আটক রাখার পর ম্যাকএয়ার-কে  মুক্ত করা হয়।