সংক্ষিপ্ত
সোমবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দুই বিশেষ প্রতিনিধি ইরিনি খান এবং মেরি ললোর বিবৃতি জারি ভারতকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন। পাল্টা বক্তব্য রাখে ভারতও। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন তরজা।
ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে সাংবাদিক রানা আইয়ুব (Journalist Rana Ayub) ১.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি (Property worth 1.77 crore) বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তারপর থেকেই এই ইস্যুতে বাড়তে থাকে চাপানউতর। এদিকে তারপর থেকেই নাকি অনলাইনে লাগাতার 'নারীবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক' আক্রমণের মুখে পড়ছেন সাংবাদিক রানা আয়ুব। যা নিয়ে সরগরম বিশ্ব রাজনীতি। এদিকে সোমবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দুই বিশেষ প্রতিনিধি ইরিনি খান এবং মেরি ললোর বিবৃতি জারি ভারতকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন। পাল্টা বক্তব্য রাখে ভারতও। তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন তরজা।
সহজ কথা্য় আইয়ুবের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে ভারত কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের আগের বিবৃতি সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন এবং অযাচিত’ বলে দাবি করেছে দিল্লি। একই সঙ্গে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, এই রকম ‘বিভ্রান্তিকর কাহিনিতে’ রাষ্ট্রসংঘের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ভারত বলেছে যে দেশে আইনের শাসন অনুসরণ করা হয় এবং কেউ এর ঊর্ধ্বে নয়। জেনেভায় ভারতের স্থায়ী মিশন একটি টুইটে বলেছে যে একটি বিভ্রান্তিকর গল্প প্রচার শুধুমাত্র জাতিসংঘ মিশনের সুনামকে কলঙ্কিত করে। টুইটে স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়, “বিচার বিভাগীয় হয়রানির অভিযোগ স্পটতই ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। ভারত আইনের শাসন বজায় রাখে কিন্তু সমানভাবে এটা স্পষ্ট যে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা আশা করি বরিষ্ঠ প্রতিনিধিরা বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য দেবেন।”
আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের
আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার
অন্যদিকে, নয়াদিল্লির সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে জেনেভায় ভারতীয় মিশন এই বিষয়ে একটি নোট মৌখিক ভাবে জারি করবে। এটি জাতিসংঘের কার্যালয়েও তোলা হবে। এর আগে জেনেভায়, জাতিসংঘের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে ইরিনি খান এবং মেরি ললো বিবৃতি জারি করে বলেন, “সাংবাদিক রানা আয়ুবের বিরুদ্ধে অনলাইনে লাগাতার যে নারীবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চলছে, তা নিয়ে অবিলম্বে এবং বিস্তারিতভাবে তদন্ত করতে হবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে। তাঁর উপর যে বিচারবিভাগীয় হেনস্থা চলছে, তাও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।” যা নিয়েই শুরু হয় তোলপাড়। এদিকে এনফোর্সমেন্ট সংস্থা (ইডি)-র অভিযোগ জনসেবার নাম করে টাকা তুলেছিলেন সাংবাদিক রানা আইয়ুব। এরপর সেই টাকা ব্যক্তিগত কারণে ব্যবহার করেছেন। আর সেই কারণেই নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। এদিকে রাষ্ট্রসংঘ-ভারত এই তরজার মধ্যে এই ঘটনার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি
আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর