সংক্ষিপ্ত

  • মহামারি পরবর্তী বিশ্ব নিয়ে সচেতন করল রাষ্ট্র সংঘ 
  • একই নতুন সমীক্ষা রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে 
  • চরম দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারীর সংখ্যা বাড়বে 
  • ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে 

করোনভাইরাসের মহামারি বিশ্বে খুদার রাজ্যকে আরও বিস্তৃত করবে। তেমনই আশঙ্কার কথা শোনাল রাষ্ট্র সংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে অতিরিক্ত ২০৭ মিলিয়ন মানুষ চমর দরিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে। বিশ্বজুড়ে দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ বিলিয়নেরও বেশি। রাষ্ট্র সংঘের সমীক্ষা রিপোর্টে জানা গেছে বলা হয়েছে আগামী কয়েকটি দশক বিশ্ব করোনা মহামারির ক্ষত ভোগ করবে। রাষ্ট্র সঙ্ঘের সঙ্গে ইনএনডিপি ও ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্দি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশানাল ফিউচারের উদ্যোগেই এই সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। এই সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল মহামারি পরবর্তী বিশ্বের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা। 

সমীক্ষায় বলা হয়েছে করোনা মহামারির মারাত্মর দীর্ঘমেয়দী প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে। অতিরিক্ত ২০৭ মিলিয়ন মানুষকে এই মহামির চরম দরিদ্রসীমার দিকে ঠেলে দিয়েছে ২০২০ সালেই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ মানুষ চরম দরিদ্রসীমার গণ্ডী অতিক্রম করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে। ৮০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা হ্রাসপাবে। আর ১০ বছরেরও বেশি সময় তা অব্যাহত থাকবে। করোনা মহামারি আর্থিক বৃদ্ধির গতিপথ আটকে দেবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রদত্ত কল্যাণমূলক কর্মসূচি, সামাজিক কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়া অত্যান্ত জরুরি। 

একই সঙ্গে বলা হয়েছে ডিজিটালাইজেন বা গ্রিন ইকোনমিতে এসডিদি বিনিয়োগ এই সমস্যা মোকাবিলা করতে পারবে না। গবেষণাপত্রে বিশেষ করে বলা হয়েছে মরামারি একটি সূক্ষবিন্দু। আর বিশ্ব নেতৃত্ব চাইলে এটিকে একদম অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারে। বলা হয়েছে জরুরিভিত্তিতে কর্মের জন্য লগ্নি করা হলে সমগ্র মানবজাতির উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি প্রস্তাব করা হয়েছে করোনা পরবর্তীকালে অতিরিক্ত বিনিয়োগের সঙ্গে দক্ষতা খাদ্য জ্বালানি ও জলের ব্যবহারের ধরন গুলি পরিবর্তন করা। একই সঙ্গে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপরেও জোর দেওয়া হয়েথে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।