সংক্ষিপ্ত
বিজ্ঞানীদের ধারনা, এই গ্রহানু দক্ষিণ আমেরিকা থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ এশিয়া, আরব সাগর ও আফ্রিকার মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, ১০০টি পারমানবিক বোমার চেয়েও বেশি ধ্বংসাত্মক চেহারা নিতে পারে এই গ্রহাণু।
'সিটি কিলার' গ্রহাণু নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে নাসার বিজ্ঞানীরা। বড় আকারের এক গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। মনে করা হচ্ছে, পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা প্রায় ২ শতাংশ। বিজ্ঞানীরা এমন একটি করিডরের মানচিত্র প্রকাশ করেছেন যেখানে yr4 গ্রহানুর সংঘর্ষের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যেখানে দেখানো হয়েছে কোথায় আছড়ে পড়তে পারে গ্রহানু। বিজ্ঞানীদের ধারনা নটিদেশে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা এই গ্রহাণুর।
এই পরিসংখ্যান মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষের ক্ষেত্রে যথেষ্টই ভীতিপ্রদ। 2024 YR4 নামের এই গ্রহাণুর নামকরণ হয়েছে ‘সিটি কিলার’। নামের অর্থেই পরিষ্কার যে, এই গ্রহাণু আস্ত শহর ধ্বংস করে দিতে পারে ।
সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটিকে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন । তবে গ্রহাণুটি ঠিক এখনই প্রবেশের সময় নয়। গ্রহাণুটি ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর সৌরমণ্ডলে প্রবেশ করার কথা । জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটিকে প্রথম আবিষ্কার করেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে । ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির মতে, যত সময় যাচ্ছে, ততই পৃথিবীর ধাক্কা লাগার আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই গ্রহাণুর সঙ্গে । প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, ১ শতাংশ সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষন করে দেখেন সম্ভাবনা বেড়ে ২ শতাংশ হয়েছে। তেমনই দাবি করেছেন নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, মার্চের পর মে মাসেও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণে রাখবেন গ্রহাণুটিকে। বিজ্ঞানীদের ধারনা গ্রহাণুটি ফের দৃশ্যমান হওয়ার কথা ২০২৮ সালে ।
বিজ্ঞানীদের ধারনা , এই গ্রহানু দক্ষিণ আমেরিকা থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ এশিয়া, আরব সাগর ও আফ্রিকার মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে। ফায়ারিং লাইনে রয়েছে, ভারত,পাকিস্থান,ইথিওপিয়া,সুদান,নাইজেরিয়া,ভেনিজুয়েলা,ইকুয়েডর , কলম্বিয়ার মতো দেশগুলোও। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই, কারণ এই গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। তবে বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, ১০০টি পারমানবিক বোমার চেয়েও বেশি ধ্বংসাত্মক চেহারা নিতে পারে এই গ্রহাণু।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।