সংক্ষিপ্ত

ইলন মাস্ক ভারত ও চীনের জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এটিকে মানবতার জন্য বৃহত্তম হুমকি বলে অভিহিত করেছেন এবং ২১০০ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা পরিবর্তনের একটি গ্রাফ শেয়ার করেছেন। বিশেষজ্ঞরাও এই হ্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন।

ভারত ও চীনের জনসংখ্যা হ্রাসের পূর্বাভাস: ইলন মাস্ক এবার ভারত এবং চীনের জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভের পর এলন মাস্কের সক্রিয়তা বেশ কয়েকবার বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এলন মাস্ক এটিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, জনসংখ্যা হ্রাস মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।

জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে এলন মাস্ক কী বলেছেন?

টেসলার মালিক তার এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যাতে তিনি বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পোস্টে তিনি একটি গ্রাফ হাইলাইট করেছেন। গ্রাফটিতে নাইজেরিয়া, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান সহ প্রধান দেশগুলির জন্য ২০২৮ এবং ২১০০ সালের মধ্যে আনুমানিক জনসংখ্যা পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। এই গ্রাফটি জনসংখ্যার পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। এই গ্রাফে তিনি লিখেছেন: জনসংখ্যা হ্রাস মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি নিজের পোস্টটি রিটুইটও করেছেন।

জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞদের মতামত কী?

গত কয়েক বছর ধরে জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত জনসংখ্যা হ্রাসের পরিসংখ্যান নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব জনসংখ্যা হ্রাসের দিকে এগিয়ে চলেছে। তবে এই হ্রাসের কোন দেশের উপর কী প্রভাব পড়বে তা এখনও বিতর্কের বিষয়। জনসংখ্যা হ্রাসের প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে জন্মহার হ্রাস, অভিবাসন এবং বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা। অনেক দেশে প্রতি মহিলা শিশুর গড় সংখ্যা ২.১ এর কম। এই সংখ্যাটি একটি স্থিতিশীল জনসংখ্যা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সীমা। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ২০২০ সালের প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে জনসংখ্যা হ্রাস, বিশেষ করে চীন এবং ভারতে, আগের ধারণার চেয়ে আরও দ্রুত হতে পারে।