সংক্ষিপ্ত

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine Crisis) বলি এক মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা তথা চিত্র সাংবাদিক। ইউক্রেনের ইরপিন (Irpin) শহরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। 
 

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine Crisis) মধ্যেই ইউক্রেনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এক মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা তথা চিত্র সাংবাদিককে। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ইরপিন (Irpin) শহরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই হামলায়, আরও দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, কিয়েভ ওব্লাস্ট পুলিশের (Kyiv Oblast Police) প্রধান আন্দ্রি নেবিটোভ। নেবিটোভ আরও জানিয়েছেন, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত সাংবাদিকের দেহ যুদ্ধস্থল থেকে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। 

চিকিত্সক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছেন, কিয়েভের উত্তর-পশ্চিম শহরতলির ইরপিনে, এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মার্কিন সাংবাদিকের নাম ব্রেন্ট রেনড (Brent Renaud), বয়স ৫১ বছর। প্রথমে জানা যায় তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর (New York Times) সাংবাদিক। তবে, পরে জানা যায়, একজন কন্ট্রিবিউটর হিসাবে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ তিনি বেশ কিছু লেখালেখি করলেও, ইউক্রেনে তিনি ওই বিখ্য়াত মার্কিন সংবাদমাধ্যমের কাজে নিযুক্ত ছিলেন না।

ব্রেন্টের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ব্রেন্টের তোলা ছবি তাঁরা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করলেও, তিনি তাঁদের হয়ে শেষ কাজে কোনও কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এদিন মৃত্যুর সময়, ব্রেন্টের পরণে, সেই সময়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের দেওয়া প্রেস ব্যাজটি ছিল বলেই তাঁকে এনওয়াইটির সাংবাদিক বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল। 
 
তবে, কে বা কারা তাঁকে হত্যা করল, কেনই বা হত্যা করল - এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। ইউক্রেনের সাংসদ ইন্না সোভসুন (Inna Sovsun) দাবি করেছেন, এই মার্কিন সাংবাদিককে হত্যা করেছে রুশ বাহিনীর (Russian Army) সদস্যরাই। তবে এই বিষয়ে কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। কোন পরিস্থিতিতে ওই মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও অস্পষ্ট। এএফপি-র প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ওই এলাকা থেরে ছোট বন্দুক এবং ভারি কামান দাগার শব্দ শোনা গিয়েছিল। 

ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তার, ড্যানিলো শাপোভালভ-এর দাবি, ঘটনার সময় ব্রেন্ট এবং আরেক মার্কিন সাংবাদিক ও একজন ইউক্রেনিয় নাগরিক একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাদের গাড়ির উপর হামলা হয়। গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ব্রেন্টের ঘাড়ে গুলির আঘাত লেগেছিল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। অপর সাংবাদিক ও ইউক্রেনিয় নাগরিকও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের ফার্স্ট এইড দিয়ে হাসপাতালে পাঠান শাপোভালভ। 

ইউক্রেনে রুশ হামলার সমালোচনা করেছে মার্কিন প্রশাসন। এর জেরে একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। ইউক্রেনকে অস্ত্র কেনার অর্থ সহায়তাও করেছে। তবে সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে নামেনি, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে পারে বলে আশঙ্কা করেন সমর বিশেষজ্ঞরা। তবে, মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যুর পর ওয়াশিংটন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই এখন দেখার।