সংক্ষিপ্ত

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই সে দেশ থেকে ভারতীয়দের ফেরতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।  ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ইউক্রেনে অবস্থিত ভারতীয়দের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

 

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই সে দেশ থেকে ভারতীয়দের ফেরতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সরকারের তরফে বলা হয়েছিল বন্দে ভারত প্রকল্পের আওতায় একাধিক বিমানে ভারতীয়দের (Indian) ফিরিয়ে আনা শুরু হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার ভারতের একটি বিমান মাঝপথ থেকেই ফিরে আসে। তারপরেই ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে ইউক্রেনে (Ukraine) অবস্থিত ভারতীয়দের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

 

 

নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থা একেবারেই অনিশ্চিত। আপনারা শান্তি বজায় রাখুন, যে যেখানে আছেন, নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন। বাড়ির বাইরে বের হবেন না। হোটেল ইত্যাদি কোনও আশ্রয় থাকলে, সেখানেই থাকুন। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, যারা কিভে যাচ্ছেন, পশ্চিম প্রান্ত থেকেও যারা কিভে যাচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের আগের অবস্থানে ফিরে যান। সেখানেই থাকুন। নিজেরা এর আগে যে শহরে ছিলেন সেই শহর ছাড়বেন না। সকলকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, আপনারা ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্ত বরাবর কোনও স্থান বেছে নিন, সেখানে নিজেদের নিরাপদে রাখুন। এর পরবর্তীতে কী নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে, সেটা পরবর্তীকালে জানানো হবে।

আরও পড়ুন, ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের সমস্যাটা কোথায়, কী কারণে আক্রমণ করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

প্রসঙ্গত, ভারতীয় সময় সকাল ৮ নাগাদ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । তিনি ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার কথাও বলেন। এদিকে একইসময়ে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার বৈঠক চলছে রাষ্ট্রপুঞ্জে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে যখন প্রথমবার রাশিয়া ইউক্রেনে প্রবেশ করে, তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। এরপরেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে। যুদ্ধবন্ধে একটি আন্তর্জাতিক মিনস্ক শান্তি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু তাতে লড়াই থামেনি। আর এই কারণেই রাশিয়ার নেতা বলেছেন, ওই অঞ্চলে তিনি তথাকথিত শান্তিরক্ষী পাঠাচ্ছেন।

রাশিয়া ইউক্রেনে প্রবেশের পর কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেদেশে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া চাইছে ইউক্রেনের মধ্য়ে অস্ত্র বিরতি ঘটাতে। পাশাপাশি ইউক্রনে নাৎসিদের প্রভাব দেখা দিয়েছে। সেই নাৎসিকরণ রুখতেই এই অভিযান। এদিকে সকাল পেরিয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের রাজপথে রাশিয়ার স্থলসেনা অভিযান চালানো শুরু করেছে। ট্যাঙ্ক ঘুরতে দেখা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চিন। চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সঙ্কটের মধ্য়েই যেনও শান্তি বজায় থাকে, যেনও যুদ্ধ বিরতি বজায় রাখে।