সংক্ষিপ্ত

  • এটাই শেষ মহামারি নয় 
  • করোনা মহামারি থেকে শিক্ষা নিতে হবে 
  • জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হবে হবে 
  • বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান 

বছরের শেষ দিকে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আরও একবার আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধনম গেব্রিয়েসাস। তিনি বলেন এটাই শেষ মহামারি নয়। এই মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে গোটা বিশ্বকে আগামী দিনে আসা সংকটের মোকাবিলা করতে হবে। তিনি আরও বলেন জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাণী কল্যাণকে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যে উন্নতির কথা চিন্তা করা একটি উদ্ভট কল্পনা মাত্র। রবিবার মহামারির প্রস্তুতি দিবস নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক বৈঠকে এই বার্তা দিয়েছেন। এদিন স্পষ্ট করে বলেন মহামারি থেকে পাঠ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, দীর্ঘকাল ধরেই বিশ্ব আতঙ্ক ও অবহেনার একটি চক্রের এপর পরিচালিত হচ্ছে। কোনও রকম রোগে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও আমরা অর্থ দিয়ে তা মোকাবিলা করার চেষ্টা করি। তাতে সাময়িক সাফল্য আসার পরই সেই বিষয়টি ভুলে যায় বিশ্বের মানুষ। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী সংকট মোকাবিলার করার কথা চিন্তাও করা হয় না। বর্তমান বিশ্ব বিধ্বংসী মহামারি মোকাবিলার জন্য এখনও তৈরি হয়নি বলেও তিনি সতর্ক করেছেন। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইাসের সংক্রমণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের মানুষ, প্রাণী স্বাস্থ্য।

এখন থেকেই সতর্ক হন, ছাড়পত্রের আগেই করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সক্রিয় অসাধু চক্র ...

ভারত-বিরোধী ছক কষতে ব্যস্ত পাকিস্তান, কী নিয়ে সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইমরান ..
 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, ইতিহাস বলছে এটাই বিশ্বের শেষ মহামারি নয়। মহামারির সঙ্গে মানুষ,প্রাণী ও গ্রহের স্বাস্থ্যের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির প্রচেষ্টা তখনই বাস্তবায়িত হবে যতদিন না জলবায়ু পরিবর্তন রুখে দেওয়া যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ মানুষ ধীরে ধীরে বিশ্বকে বসবাসের আযোগ্য করে তুলছে। তিনি বলেন গত ১২ মাস ধরেই গোটা বিশ্ব লড়াই করছে করোনাভাইরাসের সঙ্গে। আর সেই লড়াইয়ের কারণে বিশ্ব হেঁটেছে উল্টোভাবে। মহামারিটির প্রভাব অন্যান্য রোগের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়েছে। কিন্তু সমাজ ও অর্থনীতির ওপরেও তার প্রভাব পড়েছে। আগামী বিশ্বকে আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য তৈরি করে রেখে যেতে হবে।