সংক্ষিপ্ত

বিভিন্ন বিচিত্র প্রাণীর বাসস্থান অস্ট্রেলিয়ায়

সেখানেই আবিষ্কার হল এক দৈত্যাকৃতি কুমির প্রজাতি

বিজ্ঞানীরা একে বলছেন 'সোয়াম্প কিং' বা জলাভূমির রাজা

বিজ্ঞানীদের দাবি এই কুমিরগুলির গড় দৈর্ঘ ১৬ ফুট বা ৫ মিটার

 

ক্যাঙ্গারু, কোয়ালা ভাল্লুক থেকে বহু বিষাক্ত ভয়ঙ্কর মাকড়সা - বিভিন্ন বিচিত্র প্রাণীর বাসস্থান অস্ট্রেলিয়া। এবার সেখান থেকেই আবিষ্কার হল এক দৈত্যাকৃতি কুমির প্রজাতি, যাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন 'সোয়াম্প কিং' বা জলাভূমির রাজা। কেন? কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই কুমিরগুলির গড় দৈর্ঘ ১৬ ফুট বা ৫ মিটার! তবে একটাই বাঁচোয়া এই দৈত্যরা এখন আর জীবিত নেই, অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তবে ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ বছর আগে প্রাগৈতিহাসিক সময়ে তারাই দাপিয়ে বেড়াত অস্ট্রেলিয়া।

এই দৈত্যাকৃতির প্রাগৈতিহাসিক কুমির প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে 'পালুদিরেক্স ভিনসেন্টি'। পালুদিরেক্স কথাটি ল্যাটিন, এর অর্থ জলাভূমির রাজা। আর 'ভিনসেন্টি'র মধ্য দিয়ে প্রত্নজীববিজ্ঞানী জেফ ভিনসেন্টকে সম্মানিত করা হয়েছে। ভিনসেন্টই প্রথম এই দৈত্যাকৃতি কুমিরের জীবাশ্মের খুলিটি আবিষ্কার করেন। জানা গিয়েছে সেই খুলিটির ওজনই বর্তমান সময়ের বৃহত্তম কুমিরের ওজনের থেকেও ভারী। এর থেকেই বোঝা যায় ঠিক কতটা বড় আকারের ছিল এই প্রজাতির কুমিরগুলি আর কতটা শক্তিশালী ছিল তাদের একেকটি কামড়।

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পালুদিরেক্স ভিনসেন্তি, তাদের সময়ে ছিল অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় শিকারী প্রাণী। সাধারণত প্রাগতৈহাসিক দৈত্যাকার মার্সুপিয়াল প্রাণীরাই ছিল তাদের খাদ্য। মার্সুপিয়ালরা হল স্তন্যপায়ী প্রাণীদেরই একটি প্রজাতি। তাদের অন্যতম স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য হল, ছানাদের তাদের মায়েরা একটি থলিতে করে বহন করে। যেমন আজকের দিনের ক্যাঙ্গারু। বর্তমানে সমস্ত মার্সুপিয়াল প্রাণীদেরই দেখা যায় অস্ট্রেলেশিয়া এবং আমেরিকা মহাদেশে। তবে 'জলাভূমির রাজা' কুমিরটি কেন, কীভাবে অবলুপ্ত হয়ে গেল, তা এখনও জানা যায়নি। এখন সেই প্রশ্নের উত্তরই খোঁজার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।