সংক্ষিপ্ত

  • ইমরান খানের ভাবমূর্তি তলানিতে ঠেকেছে 
  • পরিস্থিতি থেকে বার হতে ভারত বিরোধী বার্তা দেওয়ার চেষ্টা 
  • মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছেন ইমরান খান 
  • কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি 
     

পাকিস্তানে যতই জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকছে ততই কী পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারত বিরোধী পরিকল্পনার ওপর জোর দিচ্ছে? গত ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনা প্রধান জেনালেন ওমর জাভেজ বাজওয়া ও ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল ফিজ হামিদ একটি বৈঠক করেন। সূত্রের খবর ওই বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্যা ডন বলেছেন ওই বৈঠকে ভূস্বর্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে ভারতের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিশ্বে ভারতের গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে কিছুটা হলেও পাক প্রশাসন ভয় পেয়েছে বলেই সূত্রের খবর। 

সূত্রের খবর জম্মু ও কাশ্মীর, ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানের সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। পাক সংবাদ পত্র ডন দাবি করেছে ইমরান খান ওই আলোচনায় জম্মু ও  কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা করেছেন। সূত্রের খবর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে সংঘর্ষ বিরোধী চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা তা সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কোনও মূল্যে সমগ্র জাতির সমর্থন নিয়ে দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। গত ২৩ ডিসেম্বর খাইবার ফাখতুনখারদারের মার্দান শহরে একটি সমাবেশ হয়। সেখানে ইমরান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এক জড় হয়। ইমরান খানের সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। তারপরই ইমরান খানের এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতি বিশ্লেষকরা। বৈঠকের কথা ইমরান খানের কার্যালয় থেকে জানান হলেও আলোচনার বিষয় বিস্তারিত কিছু জানান হয়নি। 

 


ইতিমধ্যেই ইমরানের বিরুদ্ধে ১১টি দল জোট বেঁধেছে। তাঁকে ক্ষমতাচূত্য করতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে। অন্যদিকে ইমরান খান  সেনাবাহিনীর হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে বলে দেশেরই একাংশ মানুষ অভিযোগ তুলেছেন। সবমিলিয়ে চাপ বাড়ছে ইমরানের ওপর। সূত্রের খবর সবকিছু থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ইমরান খানও ভারত বিরোধী সুর চড়াচ্ছেন। 

পাকিস্তান সেনা বাহিনী দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি বৈদেশীক নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে যেথষ্ট ক্ষমতা পেয়ে এসেছে দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে সেনা বাহিনী দেশের রাজনীতিতেই হস্তক্ষেপ করছে। যা মানতে নারাজ বিরোধীরা। অনেকেরই দাবি ২০১৮ সালে ইমরানকে জেতাতে সেনাবাহিনীর একটা বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু ইমরান যেমন তা মানতে নারাজ তেমনই সেনাও তা মানতে নারাজ। তাই এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ইমরান খান নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটা প্রয়াস চালাচ্ছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।