সংক্ষিপ্ত


কেন নিজস্ব শৌচাগার বহন করেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) কিম জং-উন (Kim Jong-Un)? কেনই বা তাঁর মল-মূত্র পাহাড়া দেয় রক্ষীরা? 

উত্তর কোরিয়ার (North Korea) একচ্ছত্র নেতা কিম জং-উন (Kim Jong-Un)। তিনি নাকি যেখানেই সফরে যান,  সঙ্গে করে নিয়ে যান নিজস্ব শৌচাগার। কারণ, তিনি তাঁর মল-মূত্রকেও সুরক্ষিত রাখতে চান। সম্প্রতি 'দ্য মিরর' পত্রিকার পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই বিস্ময়কর দাবি করা হয়েছে, এই স্বৈরাচারী শাসক সম্পর্কে। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম জং উন, যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে করে নিজের শৌচাগার বহন করেন। তাঁর বুলেটপ্রুফ মার্সিডিজ বেঞ্জ-সহ, সমস্ত গাড়িতেই 'বিল্ট-ইন টয়লেট'এর সুবিধা রয়েছে। এর জন্য প্রতিটি গাড়িতেই বিশেষ ব্যবস্থা করিয়েছেন তিনি। আর, কিম জং-উনের সমস্ত টয়লেটগুলির তত্ত্বাবধান করে তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা। তাঁদের কড়া নজর থাকে, যাতে অন্য কেউ ওই শৌচাগারগুলি ব্যবহার না করে। তারপরও, কেউ তা করে ধরা পড়লে, তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। 

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত, কিম-এর সুরক্ষা বলয়ের এক অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে, দ্য মিরর-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম জং উনের গাড়ি বহরের মধ্যে একাধিক গাড়ি থাকে, যাতে বাইরে থেকে কেউ না আন্দাজ করতে পারে, যে কোন গাড়িটিতে আছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা। এর সঙ্গে একটি পৃথক গাড়ি থাকে, যেটিকে কিম তাঁর বিশ্রামাগার হিসাবে ব্যবহার করেন। সেই গাড়িতেই তিনি মল-মূত্র ত্যাগ করেন। 

কিন্তু, কেন এমন করেন কিম জং উন? মিররের ওই সূত্রের দাবি, এর কারণ হল, কোনও 'পাবলিক টয়লেট' অর্থাৎ গণ-শৌচাগারকে বিশ্বাস করেন না উত্তর কোরিয়ার নেতা। সাধারণ গণ-শৌচাগার ব্যবহার করার কথা চিন্তাই করতে পারেন না কিম। কারণ, তাঁর আশঙ্কা, তাঁর মল-মূত্র থেকে শত্রুপক্ষ তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জেনে যেতে পারে। তাই শুধু তাঁর গাড়ির ভিতরেই নয়, কিম জং উন যে ট্রেনে চড়েন, তার ভিতরেও রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহারের শৌচাগার। এমনকী, পাহাড়ি ভূখণ্ড বা তুষারাবৃত স্থানে চলাচলের জন্য তিনি যে বিশেষভাবে নকশা করা যানবাহন ব্যবহার করেন, সেগুলির ভিতরেও তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহারের শৌচাগার থাকে। আর তাঁর দেহরক্ষীরা, সেই শৌচাগারের মল-মূত্র যাতে কিমের শত্রুপক্ষের হাতে না যা, সেই দিকে খেয়াল রাখেন।

বস্তুত, কিম জং-উনের স্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি চলছে। এ মাঝে একটা সময়, তাঁর মৃত্যুর খবরও রটে গিয়েছিল। গত বছর উত্তর কোরিয় সংবাদমাধ্যমে কিমের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, অনেক রোগা হয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রায় চেনাই যাচ্ছে না, গোলগাল কিম-কে। জানা গিয়েছে, ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে তিনি তাঁর খাদ্যতালিকা থেকে বিলাসবহুল সুইস পনির, গলদা চিংড়ি এবং অ্যালকোহল বাদ দিয়েছেন। তাতেই, স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটছে। এর আগে, তিনি এতটাই মোটা ছিলেন, যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাঁকে হ়দরোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।