সংক্ষিপ্ত

মাঝ বয়সী মহিলার সঙ্গে এ কী করল ১১ বছরের নাবালক! ঘটনা জানলে গায়ে কাঁটা দেবে

প্রায়শই আমরা বাড়িতে বা স্কুলে বাচ্চাদের দুষ্টুমিকে উপেক্ষা করি। যার ফলে তাদের পদক্ষেপ ভুল পথে চলে যায়। ১১ বছর বয়সে অশ্লীল কাজ, তাও আবার একজন বয়স্ক মহিলার সাথে, আপনি ভাবতে পারেন বাচ্চাটির মানসিকতা কেমন হবে। ঘটনাটি ইংল্যান্ডের

নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের উডফোর্ড এলাকার। যেখানে পুলিশ এখন সেই ছেলেটির খোঁজ করছে। ঘটনাটি ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবারের। দুপুর ১২টা থেকে ১২.৩০টার মধ্যে ১১ বছরের এক বালক রাস্তার মাঝখানে এক মহিলার সাথে অশালীন আচরণ করে। সে মহিলার স্পর্শকাতর স্থান স্পর্শ করে এবং তারপর মিল রোডের দিকে চলে যায়। এরপর মহিলা পুলিশে অভিযোগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, অভিযুক্ত বালকটি ফর্সা ছিল। তার চুল হালকা বাদামি এবং নীল জিন্স এবং কালো বোম্বার জ্যাকেট পরা ছিল। সত্যিই এই ধরনের ঘটনা কেবল আইনি দিক থেকেই নয়, সামাজিক এবং প্যারেন্টিং দৃষ্টিকোণ থেকেও বেশ গুরুতর।

এই ধরনের ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয় যে বাচ্চাদেরকে সঠিক এবং ভুলের মধ্যে পার্থক্য শেখানো কতটা জরুরি। প্রায়শই বাচ্চারা অল্প বয়সেই তাদের আশেপাশের পরিবেশ থেকে শেখে। বন্ধুদের সঙ্গ, মোবাইলে ভুল ভিডিও দেখে তাদের পদক্ষেপ বিপথগামী হয়। এমন পরিস্থিতিতে মাতা-পিতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তারা কীভাবে তাদের বাচ্চাদের সঠিক পথে নিয়ে আসবে।

ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের শেখানো উচিত যে কাউকে স্পর্শ করার আগে তাদের সম্মতি নেওয়া জরুরি। তাদের বোঝানো জরুরি যে প্রতিটি মানুষের শরীরের সীমা আছে, যা সম্মান করা উচিত।

আজকাল বাচ্চারা ইন্টারনেট এবং মিডিয়া থেকে খুব দ্রুত প্রভাবিত হয়। মাতা-পিতার উচিত বাচ্চাদের ডিজিটাল এক্সপোজারের উপর নজর রাখা এবং তাদের অনৈতিক ভিডিও থেকে দূরে রাখা।

বাচ্চারা যদি কোনও বিষয়ে বিভ্রান্ত হয়, তবে তাদের আপনার সাথে খোলামেলা কথা বলার সুযোগ দিন। এমন পরিবেশ তৈরি করুন যাতে তারা কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে দ্বিধা না করে।

এই ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য সমাজকেও সচেতন হতে হবে। স্কুল এবং কমিউনিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাচ্চাদের মধ্যে ভাল সংস্কার এবং নৈতিকতা বিকাশ করা যেতে পারে।