সংক্ষিপ্ত
গাম্বিয়ার পর ফের উত্তরপ্রদেশের তৈরী কাফ সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হলো উজবেকিস্তানের ১৮ জন শিশুর। ম্যারিন বায়োটেক নামে ওই ফার্মেসি কোম্পানির সিরাপ উদপাদন আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
গাম্বিয়ার পর ফের উত্তরপ্রদেশের তৈরী কাফ সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হলো উজবেকিস্তানের ১৮ জন শিশুর। ম্যারিন বায়োটেক নামে ওই ফার্মেসি কোম্পানির সিরাপ উদপাদন আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সূত্রের খবর ডক-১ ম্যাক্স’ নামের ওই সর্দি কাশির সিরাপ অনেকদিন থেকেই উৎপন্ন হচ্ছিলো উত্তরপ্রদেশে। কিন্তু এই সিরাপ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন। আপাতত ওই সিরাপ সহ প্রোপিলিন গ্লাইকলযুক্ত যাবতীয় ওষুধ এখন নিষিদ্ধ করেছে যোগী সরকার।
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও) এবং সে রাজ্যের ‘ড্রাগ কন্ট্রোলিং অ্যান্ড লাইসেন্সিং অথরিটি’-র যৌথ বিশেষজ্ঞ তদন্তকারী দল অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে প্রথমে এবং তারপর ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদনের ছাড়পত্র দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। বৃহস্পতিবার তারা নয়ডার ওই কারখানা ঘুরে দেখেছেন। এমনকি পরীক্ষার জন্য কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার কফ সিরাপ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হল ভারতকে। এর আগে আফ্রিকার গাম্বিয়ায় কফ সিরাপ খেয়ে ৬৬ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনায় একইভাবে অভিযোগের তির এসেছিল ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকে। গাম্বিয়া সরকারের দাবি ছিল, মেডেন ফার্মাসিউটিক্যাল নামের সংস্থার কফ সিরাপ খেয়ে সেদেশে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। যদিও শেষমেশ ভারত সরকার জানিয়ে দেয়, গাম্বিয়া সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যা তথ্য দিচ্ছে, তা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।