সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা অবশ্যই গোটা বিশ্বের কাছে বড়সড় দুশ্চিন্তার কারণ।

কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭-এর ধাক্কায় কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন। সম্প্রতি প্রত্যেক দিন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন এই দেশে। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা অবশ্যই গোটা বিশ্বের কাছে বড়সড় দুশ্চিন্তার কারণ। ২০২২-এর একেবারে শেষ সপ্তাহে এসে এ বার নতুন আশঙ্কার কথা জানাল কমিশন।

চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে চিনের বড় বড় শহরগুলিতে একেবারে শিখরে পৌঁছে যেতে পারে কোভিড সংক্রমণ। ডিসেম্বরেই চিনের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল ঝেজিয়াং প্রদেশে প্রত্যেক দিন প্রায় দশ লক্ষ করে মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিনের ‘আইফোন’ শহর বলে পরিচিত জেংঝাউ শহরেও সংক্রমণের হার গত দু’সপ্তাহের তুলনায় সর্বোচ্চ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে চিনের আশি শতাংশ অঞ্চলকেই কোভিড গ্রাস করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।

রবিবারই চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি দিন সে দেশে কত জন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা আর জানানো হবে না। অর্থাৎ দৈনিক করোনা আক্রান্তের নথি প্রকাশ করবে না দেশের প্রশাসন। সরাসরি ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এই তথ্য প্রকাশ করবে। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা হবে, নাকি সাপ্তাহিক বা মাসিক আক্রান্তের নথি প্রকাশ করা হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এর ফলে কয়েকশো কোটি জনসংখ্যার এই দেশে প্রকৃতপক্ষে রোজ কতজন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, সে বিষয়ে সঠিকভাবে তথ্য পাওয়া যাবে না মনে করছে গোটা বিশ্ব।

কোভিড আক্রান্তের তথ্য প্রকাশ্যে না আসার কারণে চিনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা সেই দেশের চিকিৎসক মহলের। সংক্রমণের রেখচিত্র পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য কমিশনের আশঙ্কা, জানুয়ারির মধ্যভাগে চিনের শহরে সব চেয়ে বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হবেন। তারপর আস্তে আস্তে কমবে সংক্রমণের হার। তবে গ্রামাঞ্চলগুলিতে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।


আরও পড়ুন-
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি, আলোচনায় রইল শান্তির বার্তা
‘সাইবার অপরাধের রাজধানী’ জামতাড়ায় এবার ‘পুলিস কি পাঠশালা’, পিছিয়ে পড়াদের হাত ধরলেন আইএএস আইপিএস-রা
‘ধারাল অস্ত্র রাখুন’, ‘সন্তানকে মিশনারি স্কুলে পাঠাবেন না’ হিন্দুত্ববাদী মঞ্চ থেকে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি সাংসদের