সংক্ষিপ্ত
রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কমিটির এক সদস্যকেও খুন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সুদান এবং দক্ষিণ সুদান উভয়ের মধ্যে টানাপড়েন, তেল সমৃদ্ধ অঞ্চল আবেই-তে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কে অধিকার কায়েম করবে, সেই নিয়ে বিবাদ অব্যাহত। এই বিবাদে মাঝেমাঝেই চলে হিংসাত্মক আক্রমণ, যার বলি হন সাধারণ নিরীহ গ্রামবাসিরা। এবারেও সেই মর্মান্তিক আক্রমণে প্রাণ দিতে হল ৫২ জনকে। এই ৫২ জনের মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কমিটির একজন সদস্যও ছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে।
দক্ষিণ সুদান মার্চ মাসে আবেইতে তার সেনা মোতায়েন করার পর থেকে আন্তঃসাম্প্রদায়িক এবং আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ আরও বেড়ে গেছে।
২৭ জানুয়ারি, শনিবার, সন্ধ্যায় হামলার উদ্দেশ্য কী ছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন আবেই -এর তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ।
মারাত্মক জাতিগত সহিংসতা এই অঞ্চলে প্রায়শই ঘটে থাকে। প্রতিবেশী ওয়ারাপ রাজ্যের টুইক ডিঙ্কা উপজাতি সদস্যরা সীমান্তে অবস্থিত আনিত এলাকায় আবেই থেকে এনগোক ডিঙ্কার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই জমি সংক্রান্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
শনিবারের সহিংসতায় হামলাকারীরা ছিল নুয়ের উপজাতির সশস্ত্র যুবক, যারা নিজেদের এলাকায় বন্যার কারণে গত বছর ওয়ারাপ রাজ্যে চলে গিয়েছিল।
এক বিবৃতিতে, জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তা বাহিনী আবেইতে UNISFA -এর এক শান্তিরক্ষীর নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
UNIFSA নিশ্চিত করেছে যে , নিনকুয়াক, মাজবং এবং খাদিয়ান এলাকায় আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে যার ফলে এই বিপুল হতাহতের ঘটনা ঘটেছে । যুদ্ধের কারণে আপাতত UNISFA ঘাঁটি থেকে সমস্ত সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।