সংক্ষিপ্ত
তালিবানা ক্ষমতায় আসার এক বছরই পরই আফিম চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলে। কিন্তু চরম আর্থিক সংকটে ভোগা আফগানরা লুকিয়েই চাষ করছিল। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে আফিম চাষ বেড়েছে ৩২ শতাংশ।
আফগানিস্তানে আফিম চাষ গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ বেড়েছে। তেমনই দাবি করেছে রাষ্ট্র সংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিসের একটি সার্ভে। অথচ ২০২২ সালেই এই দেশে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এই দেশের একটি লাভজন অর্থকরী ফসল আফিম। নিষিদ্ধ ঘোষণার পরই এই চাষ এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে- যা রীতিমত উদ্বেগের বিষয়।
২০২১ সালের অগাস্ত তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল। তার প্রায় এক বছর পরে ২০২২ সালের এপ্রিলে আফগানিস্তানে আফিম, পোস্ত জাতীয় সমস্ত মাদক চাষ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল তালিবানরা। তারপরই আচমকাই দাম বেড়ে যায় আফিম আর পোস্তর। আফগানিস্তানে আফিম চাষ - সাম্প্রতিকতম ফলাফল ও উদীয়মান হুমকি, কারণ ২০২১ সালে তালিবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসের পর এই ব্যবস্থা বন্ধ করেছিল ২০২২ সালে। কিন্তু অক্টোবরে রিপোর্টে দেখা গেছে এই দেশে আফিম চাষ বেড়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর এটাই প্রথম আফিম চাষের রিপোর্ট। এই রিপোর্টই কৃষকদের দ্বারা নেওয়া রোপণের সিদ্ধান্তকে প্রতিফলিত করে ডি-ফ্যাক্টো কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের এপ্রিলে সমস্ত অবৈধ ড্রাগ চাষ, উত্পাদন এবং পাচারের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার আগে।
ইইএনওডিসির প্রধান ঘাড়া ওয়ালি বলেছেন, আফগানিস্তানের কৃষকরা অবৈধ আফিম চাষে আটকে পড়েছে। যখন আফগানিস্তানের চারপাশে বাজেয়াপ্তের ঘটনাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে আফিম পাচার এখনও অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন আর্থিক দিক থেকে রীতিমত দুর্বল হয়ে পড়েছে আফগানিস্থান। আফগান জনগণের তীব্র চাহিদা মোকাবিলা করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কাজ করতে হবে। তবেই আফগানিস্তানে আফিম চাষ কমবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের ক্ষতি বন্ধ করার জন্য আফিম ও হিরোইন পাচারের যে চক্র রয়েছে সেগুলিকেও বন্ধ করতে হবে।
ইউএনও ডিসির রিপোর্ট অনুযায়ী অফগানিস্তানে আফিম চাষ আগের বছরের তুলনায় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়এছে। বর্তমানে প্রায় ২৩৩০০০ হেক্টর জমিতে আফিম চাষ হচ্ছে। যা ২০২২ আফগানিস্তানে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি চাষ হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে আফিম চাষ প্রায় ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। হিলমান্দ প্রদেশের আবাদি জমির এক পঞ্চমাংশে আফিম আর পোস্ত চাষ করা হয়েছিল।
এপ্রিল মাসে আফিম চাষ নিষিদ্ধ হওয়ার পর দাম বেড়েছে আফিম বিক্রি থেকে কৃষকদের আয় ২০২১ সালে ছিল ৪২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে তা তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়ে ১.৪ মার্কিন ডলার। কিন্তু আফিম বিক্রি করে বেশি টাকা আয় করলেও আফগানদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়েনি। কারণ এই সময় দেশটি মুদ্রাস্ফীতিতে ভুগছে। খাবারের দাম গড়ে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।