সংক্ষিপ্ত
কাজ়াখ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রায় ৪০০০ বর্গমিটার জায়গার মধ্যে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি।
বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে যেন রহস্য ক্রমশই বাড়ছে। পাখির ধাক্কা? নাকি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া?
না কি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা? একাধিক সম্ভাবনা সামনে আসছে। এই নানাবিধ তত্ত্ব নিয়েই হইচইয়ের মাঝে এবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার করা হল। কিন্তু কেন ভেঙে পড়ল বিমানটি? তার কারণ এখনও অধরা।
কাজ়াখ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রায় ৪০০০ বর্গমিটার জায়গার মধ্যে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। সেই দুর্ঘটনাস্থল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
বিমান ভেঙে পড়ার আগে আকতু বিমানবন্দরের সঙ্গে পাইলটের শেষ কী কথোপকথন হয়েছিল, তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে কাজ়াখ প্রশাসন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলি বিশ্লেষণ করারও প্রক্রিয়া চলছে। বিমান বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের গায়ে একাধিক গর্ত তৈরি হয়েছে এবং বিমানটি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার ধরন দেখে মনে হচ্ছে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছিল সেই বিমানটি।
তাদের দাবি, ৯০-৯৯ শতাংশ সম্ভাব্য কারণ এটিই। যদিও রাশিয়া এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছে। আর এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে একটা রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়ে গেছে।
আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সও বিমানে হামলার তত্ত্বের উপর জোর দিয়েছে। সেইসঙ্গে, এই হামলার দায় রাশিয়াকে স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তুলেছে তারা।
বুধবার বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজ়নিতে যাচ্ছিল বিমানটি। তাতে বিমানকর্মী-সহ মোট ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। আকতু বিমানবন্দরের কাছে বিমানটি হটাৎই ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।