সংক্ষিপ্ত
স্যাটেলাইট ইমেজে যে ছবি দেখা যাচ্ছে সেগুলি হল- পারমাণবিক কেন্দ্রে একটি নতুন বিমানধাঁটি তৈরি করা হয়েছে , পাহাড়ের ধারে একটি খাদ তৈরি করাহয়েছে। সেখানে বন্দুক রাখা হয়েছে।
রণংদেহী মেজাজে চিন। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে জিনজিয়ান স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে লোপ নুর পারমাণবিক কেন্দ্রকে নতুন করে সক্রিয় করা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সাবক্রিটিকাল পরীক্ষাগুলি রাসায়নিক বিস্ফোরক ব্যবহার করে পারমাণবিক বিস্ফোরণের ব্যবস্থা করতে চাইছে চিন।
নিউইয়র্ক টাইমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ম্যাক্সার ইমেজারি সংস্থার স্যাটেলাইটের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে পারমাণবিক পরীক্ষা স্থান লোপ নুরে পাহাড়ের ধার বরাবর খোদাই করা হয়েছে একাধিক খাদ বা সুড়ঙ্গ। এই পরীক্ষাকেন্দ্রটি চিন ১৯৬৪ সালে তৈরি করেছিল। তারপর থেকেই এটি সক্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে স্যাটেলাইট ইজেমে সেখানে অতিরিক্ত সক্রিয়তা তুলে ধরা হয়েছে। কারণ সেখানে অনুমান করা হয়েছে অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করা হতে পারে। পারমাণবিক ওয়ারহেড ডিজাইন পরীক্ষা করা হতে পারে । পাশাপাশি মিসাইলের শক্তিও পরীক্ষা করা হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসে বলা হয়েছে লোপ নুর মার্কিন ও চিন সম্পর্কের সবথেকে সংবেদনশীল মুহুর্তগুলের মধ্যে একটি । রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেছেন, তিনি একটি ক্রমবর্ধমান বিতর্কিত সম্পর্ককে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। গতমাসে চিনের নেতা শি জিংপিং -এর সঙ্গে একটি বৈঠকে চুক্তির মধ্যে এটি ছিল। যদিও চিন এই প্রতিবেদন সত্য নয় বলেও দাবি করেছে। গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন।
কিন্তু স্যাটেলাইট ইমেজে যে ছবি দেখা যাচ্ছে সেগুলি হল- পারমাণবিক কেন্দ্রে একটি নতুন বিমানধাঁটি তৈরি করা হয়েছে , পাহাড়ের ধারে একটি খাদ তৈরি করাহয়েছে। সেখানে বন্দুক রাখা হয়েছে। একটি বড় ড্রিলিং রিগ করা হয়েছে। অনুমান করা হয়েছে খাদটি লম্বায় ৯০ ফুট। এই খাদ নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই খাদেই পারমাণবিক পরীক্ষা হতে পারে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই পারমাণবিক কেন্দ্রটি অতি সাধারণ ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেখানে নির্মাণের পাশাপাশি অত্যান্ত ব্যস্তধা ধরা পড়েছে। সেখানে প্রচুর অস্ত্রও জড়ো করা হয়েছে। এই এলাকায় একটি ব্যাঙ্কারও তৈরি করা হয়েছে। উপগ্রহ ছবিতে একটি ড্রিলিং মেশিন রয়েছে তাও বোঝা যাচ্ছে।