সংক্ষিপ্ত

২০২৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর জন্য খরচ করা হয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকা। আর এই খরচ করেছে পৃথিবীর মাত্র ৯ টি দেশ মিলে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে অস্ত্রের পিছনে খরচ করা হয়েছে ১৩ গুণ বেশি টাকা।

 

পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে? যেভাবে খরচ বাড়ানো হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার জন্য, তাতে আশঙ্কাও বাড়ছে সাধারণের মনে। ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেন টু অ্যাবলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপেনসের তরফ থেকে পেশ করা রিপোর্টে উঠে এসেছে সমস্ত তথ্য। ২০২২ সালে তুলনায় ২৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পিছনে খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীর জন্য খরচ করা হয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকা। আর এই খরচ করেছে পৃথিবীর মাত্র ৯ টি দেশ মিলে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে অস্ত্রের পিছনে খরচ করা হয়েছে ১৩ গুণ বেশি টাকা।

কোন দেশে কতগুলি নিউক্লিয়ার ওয়েপনস আছে তার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই তালিকা। তালিকা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি নিউক্লিয়ার ওয়েপনস রয়েছে রাশিয়ার কাছে। রাশিয়ার কাছে মোট ৫৫০০ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। সবচেয়ে কম অস্ত্র রয়েছে উত্তর কোরিয়ার কাছে। সে দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা মাত্র ৫০ টি। এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকার নাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫০৪৪টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে অন্যতম পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র চিন ও ফ্রান্সের নাম। চিনে মোট অস্ত্রের সংখ্যা ৫০০ টি এবং ফ্রান্সে রয়েছে ২৯০ টি পারমাণবিক অস্ত্র। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ব্রিটেন। মোট অস্ত্রের সংখ্যা ২২৫টি। ১৭২ টি অস্ত্র নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নাম রয়েছে ভারতের। পাকিস্তানের পারমানবিক অস্ত্রের সংখ্যা ভারতের থেকে মাত্র ২টো কম। সে দেশের অস্ত্র রয়েছে ১৭০ টি। ইজরায়েলের কাছেও রয়েছে ৯০টি পারমাণবিক অস্ত্র।

রিপোর্ট থেকেই জানা যায়, পারমাণবিক অস্ত্রের ভিত্তিতে ৫ টি শীর্ষস্থানীয় দেশের মধ্যে আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছে রয়েছে ৯০% অস্ত্র। মোট ২১০০ পারমাণবিক অস্ত্রের মধ্যে বেশিরভাগটাই রয়েছে রাশিয়া ও আমেরিকার কাছে। সুইডিশ থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মতে পারমাণবিক অস্ত্র মতন করার দিক থেকে রাশিয়া আর আমেরিকাকেই অনুসরণ করছে ভারত ও পাকিস্তান।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।