সংক্ষিপ্ত

একেবারে নতুন লুকে দেখা গেল দাউদকে। একটি বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে এল দাউদের সেই ছবি।

বছরখানেকের মধ্যেই আপদস্তক বদলে গেল দাউদ ইব্রাহিমের চেহারা। একেবারে নতুন লুকে দেখা গেল দাউদকে। একটি বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ্যে এল দাউদের সেই ছবি। নিজের চেনা লুক ছেড়ে আরবি লুকে দেখা গেল '৬৭ বছর বয়সী' দাউদকে। রং আগের থেকে ফরসা, চুলও কম। দেখে বয়স মনে হবে প্রায় ৬৭ বছরের কাছাকাছি। এছাড়া মুখে রয়েছে আরও একাধিক পরিবর্তন। কিন্তু কেন এই ভোল বদল? পাকিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিই কি আন্তর্জাতিক টেরোরিস্ট তকমা প্রাপ্ত দাউদের চেহারা বদলের কারণ? এ বিষয় এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা না গেলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে নিজের সুরক্ষার্থেই এই রূপ বদল।

প্রসঙ্গত, দাউদ পাকিস্তানে গিয়ে একাধিকবার ঠিকানা বদলল করেছে। বর্তমানে সে থাকে করাচিক আবদুল্লাহ দাবী বাবা দরগার পিছনে অবস্থিত রহিম ফাকির কাছে ডিফেন্স কলোনিতে। দাউদ ইব্রাহিম কাসকর, হাজী আনিস ওরফে আনিস ইব্রাহিম শেখ এবং মুমতাজ রহিম ফাকি সকলেই একই সঙ্গে থাকে। আলিশাহ আরও জানিয়েছে দাউদ ইব্রাহিম কারও সঙ্গে তেমনভাবে যোগাযোগ রাখে না।

আলিশাহ এনআইকে আরও জানিয়েছেন ২০২২ সালে জুলাই মাসে সে দাউদ পাকিস্তান থেকে বেরিয়েছিল। সেই সময় সে দুবাইতে তার প্রথম স্ত্রী মাইজাবিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। দাউদ দুবাইয়ে হামিদ আন্তুলয়ের বাড়িতে ছিল। আলিশাহ আরও জানিয়েছে, দাউদের প্রথম স্ত্রী মাইদাবিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সে তাকে ফোন করে। দাউদের স্ত্রী হোয়াটঅ্যাপ কলের মাধ্যমেও তার সঙ্গে কথা বলে।

১৯৮৩-৮৪ সালে মুম্বইয়ের গ্যাংওয়ার চলাকালীন মারা গিয়েছিল সাবির ইব্রাহিম। তার স্ত্রীর নাম শেনাজ। দুই সন্তান- শিরাজ ও শাহজিয়ার মা সে। তবে কোভিড আক্রান্ত হয়ে শিরাজ মারা গিয়েছিল ২০২০ সালে। সেই সময় সে মায়ের সঙ্গে পাকিস্তানে থাকত। আর শাহজিয়া তার স্বামী মোজ্জমখানের সঙ্গে আগ্রিপাদায় খারে। মোজ্জাম একজন বড় জমির দালাল।

সাত-আট বছর আগে পাকিস্তানে নুরা ইব্রাহিম কাসকার মারা যান। তার প্রথম স্ত্রীর নাম শফিকা তিনিও মারা যান। পাকিস্তানে বসবাসরত রেশমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন তিনি। শফিকার একটি মেয়ে রয়েছে যার নাম সাবা। সোহেল ও সরফরজ পাকিস্তানের বাসিন্দা। অন্যদিকে পাঁচ বছর ধরে থানে কারাগারে বন্দি ইকবাল কাসকারের স্ত্রী রিজওয়ানা দুবাইতে থাকে। পাঁচ সন্তার তাগের । মেয়ে হাফসা দুবাইতে, জারা স্পেনে আইমান দুবাইতে থাকে। ছেলে রিজওয়ান বন্দি মুম্বইয়ের আর্থাররোড জেলে। আরেক ছেলে আবান দুবাইতে থাকে।