সংক্ষিপ্ত

ইজরায়েলের সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হাসান নাসরাল্লাহ ইজরায়েল রাষ্ট্রের সবথেকে বড় শত্রুদের মধ্যে একজন।

 

হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যু নিশ্চিত। শুক্রবার ইজরায়েল সামরিক বাহিনী নেবাননের রাজনৈতিক দল ও আধাসামরিক বাহিন হিজবুল্লাহর দীর্ঘ দিনের প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে। ভয়ঙ্কর হামলার কথা স্বীকারও করেছে সেনা বাহিনী। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছেন প্রায় ৮৫ টনে বিস্ফোরক ঠাসা বোমা ফেলা হয়েছিল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আশপাশে। বিমান হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে ৬টি বহুতল। মৃত্যু হয়েছে সাধারণ মানুষেরও। এই হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে হাসান নাসরাল্লাহর।

ইজরায়েলের সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'হাসান নাসরাল্লাহ ইজরায়েল রাষ্ট্রের সবথেকে বড় শত্রুদের মধ্যে একজন। তার মৃত্যুতে বিশ্বকে নিরাপদ করা হয়েছে।' প্রশ্ন কে এই হাসান নাসরাল্লাহ? কেনই বা সে ইজরায়েলের সবথেকে বড় শত্রু?

হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৬০ সালে পূর্ব বেইরুতের একটি দরিদ্র শিয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হাসান নাসরাল্লাহ ও তাঁর পরিবার ১৯৭৫ সালে লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময়ে দক্ষিণ লেবাননের বাজোরিয়াহ গ্রামে তাঁদের পৈত্রিক ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হন। ১৫ বছর বয়সে লেবাননের শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি একটি রাজনৈতিক ও আধাসামরিক সংগঠন আমাল আন্দোলনে যোগ দেন। পড়াশুনা শেষের পর এই সংগঠনের নেতা শেখ আব্বাস আল মুসাভিরের একটি স্কুলে পড়াতেন। তারপরই তিনি হিজবুল্লাহ নামে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি করেন।

হিজবুল্লাহ ১৯৮৫ সালে তৈরি হয়েছিল। হিজবুল্লাহ ইরান থেকে আর্থিক সাহায্য পেত। কিন্তু হিজবুল্লাহর আন্দোলন ছন্দপতন হয় ১৯৯২ সালে। ইজরায়েল সেনাবাহিনী সেই সময় আল মুসাভি ও তাঁর স্ত্রী - তিন সন্তানকে হত্যা করে। তারপরই হাসান নাসরাল্লাহ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করেন। তাঁর আমলেই হিজবুল্লাহ লেবাননের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২০২১ সালে অক্টোবরে হাসান নাসরাল্লাহ বলেছিলেন হিজবুল্লাহর ১ লক্ষ যোদ্ধা রয়েছে। এটি বিশ্বের সবথেকে বড় অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠন।

ইজরায়েলের শুক্র হওয়ার কারণ-

হাসান নাসরাল্লাহর অধীনে হিজবুল্লাহ ইজলায়েলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েওঠে। ২০০০ সালে ইজরায়েল সেনা বাহিনীকে জোর করে লেবানন ছাড়া করে। ১৯৮২ সালে ইজরায়েল লেবাননের ওপর যে দখলদারি শুরু করেছিল তার অবসান ঘটে ২০০০ সালে। নাসরাল্লাহর বড় ছেসে ১৯৯৭ সালে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত হয়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।