সংক্ষিপ্ত
ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা সংঘর্ষের অবসান ঘটাবে। হামাস বন্দীদের মুক্তি দেবে। এই যুদ্ধবিরতিকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইজরায়েল এবং হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এর ফলে গাজায় ১৫ মাস ধরে চলা সংঘর্ষ থেমে যাবে। হামাস বন্দীদের মুক্তি দেবে। বুধবার নিউজ এজেন্সি রয়টার্স এই খবর প্রকাশ করেছে। ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য মিশর এবং কাতার মাসের পর মাস ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছিল। এই উদ্যোগকে আমেরিকার সমর্থন ছিল। ২০ জানুয়ারীতে আমেরিকার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করবেন। এর কয়েকদিন আগে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতিকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি ছয় সপ্তাহের জন্য কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনাদের ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হবে। হামাস কর্তৃক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। একইভাবে ইজরায়েলও প্যালেস্তানীয় বন্দীদের মুক্তি দেবে।
৭ অক্টোবর ২০২৩ এ শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-হামাসের সংঘর্ষ
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে হামাস ইজরায়েলের উপর এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায়। হামাসের হাজার হাজার যোদ্ধা আকাশ, পানি এবং স্থলপথে ইজরায়েল আক্রমণ করে। একসাথে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এই হামলায় ইজরায়েলে ১২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। হামাস ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দী করে। প্রতিশোধ হিসেবে ইজরায়েল গাজায় আক্রমণ চালায়।
গাজায় ইজরায়েলি হামলা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লেবাননে হামলা এবং ইরানের সাথে সংঘর্ষে রূপ নেয়। ইজরায়েল বিমান হামলা চালিয়ে লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি ধ্বংস করে। তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে। ইরান ইজরায়েলের উপর মিসাইল এবং ড্রোন হামলা চালায়। জবাবে ইজরায়েল বিমান হামলা চালায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইজরায়েলের হামলায় ৪৬,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।