সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী নেহানিয়াহুর কার্যালয় থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে যে ছবিগুলি দেখিয়েছিলেন তার কয়েকটি এখানে রয়েছে।

 

ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ। বৃহস্পতিবার ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত শিশুদের ভয়ঙ্কর ছবি শেয়ার করেছে। বলেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বর্তমানে ইজরায়েল সফরে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এজাতীয় ছবি মার্কিন প্রতিনিধির হাতে তুলে দিয়েছেন। যুদ্ধের ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য এজাতীয় ছবি দেখান হয়েছে। আরও বলা হয়েছে ইজরায়েলের এভাবেই নৃশংস হামলা চালিয়েছে হামসরা। তারা শিশুদের হত্যা করেছে , পুড়িয়ে মারছে।

প্রধানমন্ত্রী নেহানিয়াহুর কার্যালয় থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে যে ছবিগুলি দেখিয়েছিলেন তার কয়েকটি এখানে রয়েছে। সতর্কতা: এগুলি হামাসের দানবদের দ্বারা খুন করা এবং পুড়িয়ে ফেলা শিশুদের ভয়ঙ্কর ছবি৷ হামাস অমানবিক। হামাস হল আইএসআইএস।'

যদিও এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় হামসদের ক্রমাগত আক্রমণ করেছিল ইজরায়েল। আগে ৪০টি ইজরায়েলি শিশুর শিরোচ্ছেদ করেছে হামাসরা এমন অভিযোগও তোলা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হামাসরা। তারপরই ইজরায়েল হামলার বিভৎস আক্রমণের ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

অন্যদিকে নেতানিয়াহু প্রাক্তিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য হামাসদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে বলা হয়েছে প্যালেস্টাইনের মানুষদের বৈধ আকাঙ্কা রয়েছে, যার প্রতিনিধিত্ব করছে হামাসরা। এই সাংবাদিক সম্মলনে ব্লিঙ্কেন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, ইজরায়েল শক্তিশালী দেশ হলেও মার্কিন শক্তি তাদের পাশে রয়েছে। সর্বদা সাহায্য করে। আগেই অবশ্য মার্কিন মুলুক থেকে অস্ত্র আসতে শুরু করেছিল ইজরায়েলে। তবে হামাসরা শান্তি চাইলে মার্কিন সরকার কথাবার্তা বলতে রাজি বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন সব প্যালেস্টাইনীয়দের প্রতিনিধিত্ব করেনা হামাসরা। প্যালেস্টাইনের যেসব মানুষরা শান্তি চায় তাদের পাশে মার্কিন প্রশাসন রয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার সকলেরই রয়েছে।