সংক্ষিপ্ত
সোমবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এক লাফে ৩.৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে যুদ্ধ ইজরায়েল আর হামাস জঙ্গি অধ্যুষিত প্যালেস্টাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় থেকেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এক ঝটকায় বেড়েছিল অনেকটা। এবার তেলের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজেছে। ইজরায়েল আর প্যালেন্টাইলের দ্বন্দ্ব কি অপরিশোধিত তেলের দাম আবারও বাড়িয়ে দেবে বিশ্ব বাজারে। তেনমই ইঙ্গিত দিচ্ছে সোমবারের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এক লাফে ৩.৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে যুদ্ধ ইজরায়েল আর হামাস জঙ্গি অধ্যুষিত প্যালেস্টাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে এই যুদ্ধে ইরানের জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। আমেরিকা কিন্তু হাতে হাত গুটিয়ে বসে নিয়ে। ইজায়েলের উদ্দেশ্যে সেনা বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাই তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা ক্রমশই বাড়ছে। হামাসের আকস্মিক হামলার তৃতীয় দিনে কিছুটা হলেও কোনঠাসা ইজরায়েল। যুদ্ধ পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা এখনই স্পষ্ট নয়।
কিন্তু ইজরায়েল আর হামাসের এই সংঘর্ষের কারে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। এমন উদ্বেগ থেকেই তেলের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। যদিও ইসরায়েল বা প্যালেস্টাইন বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী নয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যই বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ এলাকায় তেল সরবরাহ করে। তাই বলা যেতে পারে বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ তেল উৎপাদন ও রফতানি অঞ্চলের দোরগোড়াতেই হচ্ছে যুদ্ধ। তাই তেলের দাম আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সবথেকে বড় উদ্বেগের বিষয় হল ইরান। অপরিশোধিত তেলের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদক দেশ। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধের খাতায় নাম না লেখালেও হামাসদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বিবৃতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তিনি বলেছেন মধ্যপ্রাচ্য আবারও উত্তপ্ত। তাই অপরিশোধিত তেল সরবরাহে আবারও সমস্যা হবে। ইরানের ওপর আক্রমণ হলে কিন্তু আরও বড় সমস্যা তৈরি হবে। যা অপরিশোধিত পণ্যের দাম বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে।
অন্যদিকে সোমবারই ইজরায়েল মার্কিন সংস্থা শেভরনকে তাদের দেশের উপকূলে তামার প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। দুই বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক শত্রুতার কারণে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বেড়েছিল। গত বছর জুন মাসে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলার ছিল। চলতি বছর মে মাসেই তেলের দাম কমে ৭০ মার্কিন ডলারে নেমে আসে। এবার ইজরায়েল প্যালেন্টাইন যুদ্ধের কারণে আবারও তেলের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।