সংক্ষিপ্ত

ভূমধ্যসাগরে তৈরি হওয়া ঝড় ড্য়ানিয়েল-এর কারণে এই দেশে প্রবল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে উত্তর -পূর্ভাঞ্চলের দুটি বাঁধ ভেঙে যায়। যার জেরে দেশের একটি বড় অংশই প্লাবিত হয়ে পড়ে।

 

প্রাকৃতিক দুর্যোগে লন্ডভন্ড লিবিয়া। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ বিধ্বস্ এই দেশে বন্যা প্রাণ কাড়ল ২ হাজার মানুষের। ১০ হাজার মানুষের কোনও সন্ধান নেই। ভূমধ্যসাগরীয় ঝড় ড্যানিয়েলের কারণেই বির্যস্ত বয়ে পড়ে গোটা দেশ। প্রশাসনের মতে দেশের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকাই ধুয়ে মুছে সাফা হয়ে গেছে।

ভূমধ্যসাগরে তৈরি হওয়া ঝড় ড্য়ানিয়েল-এর কারণে এই দেশে প্রবল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে উত্তর -পূর্ভাঞ্চলের দুটি বাঁধ ভেঙে যায়। যার জেরে দেশের একটি বড় অংশই প্লাবিত হয়ে পড়ে। পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেরনা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরটির প্রায় এক চতুর্থাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

লিবিয়ারদক্ষিণের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে এসেছে একটি নদী। বছরের অন্য সময়টা শুকনো থাকলেও বর্ষার সময় জল থেকে। প্রবল বৃষ্টির কারণে সেই নদীও রুদ্র রূপ গ্রহণ করে। জলের তোড়ে ভেসে যায় একটি বাঁধ। বাঁধের জলই ভাসিয়ে নিয়ে যায় দেরনা শহর। লিবিয়ার বন্যার ভয়ঙ্কর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বাঁধ ভাঙা জল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে একের পর এক পাকা কোঠা বাড়ি, গাড়ি। রাস্তাও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে । ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

পূর্ব লিবিয়ার আল - বায়দা, আল -মারজ, ট্রোব্রুক, টেকনিস, আল - বায়দা, বাত্তাহ মত কয়েকটি শহরে প্রকৃতির ধ্বংসলীলার ছাপ স্পষ্ট। পূর্ব উপকূলের বেনগাজি পর্যন্ত বন্যার প্রভাব পড়েছে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের পূর্বাভাস ছিল। ঝড় ও প্রবল বৃষ্টির কথাও জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু তারপরেও সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সেই কারণে এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে লিবিয়াকে। উপকূলবর্তী ও নিচু এলাকার মানুষদের দ্রুত সরিয়ে নিলে কিছুটা ক্ষতি এড়ানো যেত।

লিবিয়ার বন্যার বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাড়িগুলি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জলের তোড় এতটাই বেশি ছিল যে দেওয়ালের একাংশ ফাটিয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেছে। পড়ে রয়েছে কিছু তার। কোথাও কোথায় রাস্তার নিশানাটুকু নেই। পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসিয়ে নিয়ে গেছে।