সংক্ষিপ্ত

মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এসে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত শরণার্থীরা। আদতে মৃতের সংখ্যাটা চল্লিশের থেকে বেশি বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

নির্বাসন দেওয়ার বিরোধী প্রতিবাদের জেরে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল মেক্সিকো সীমান্তবর্তী শহর শিউড্যাড হুয়ারেজ়ে। এই শহরে শরণার্থীদের জন্য তৈরি এক বন্দি শিবিরে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৪০ জন মানুষ।

মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এসে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত শরণার্থীরা। আমেরিকা সীমান্তবর্তী মেক্সিকান শহর শিউড্যাড হুয়ারেজ়ের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইনস্টিটিউট-এ সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ ওই আগুন লাগে। সে সময়ে ওই শিবিরে মোট ৬৮ জন শরণার্থী ছিলেন বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছেন প্রায় ৪০ জন, জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২৯ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শিবির কর্তৃপক্ষের তরফে মৃতের সংখ্যা ৪০ দাবি করা হলেও ওই শিবিরের বাইরে ব্যাগ বন্দি দেহের সংখ্যা চল্লিশের থেকে অনেক বেশি বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। মৃতদের পরিচয় জানতে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলির সঙ্গে। মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ও আহতদের মধ্যে অধিকাংশরাই গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ভেনিজুয়েলা, এল সালভাদর, কলম্বিয়া এবং ইকুয়েডরের নাগরিক।

কী ভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইনস্টিটিউটের তরফে। তবে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, কাটিউস্কা মার্কেজ নামের এক তরুণী বলেছেন যে, তিনি সোমবার বিকেলে সিউদাদ জুয়ারেজের রাস্তায় টাকার জন্য ভিক্ষা করছিলেন, তখন মেক্সিকান অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে আটক করে টেক্সাসের এল পাসো থেকে সীমান্তের ওপারে একটি শরণার্থী শিবিরে বন্দি করে দেয়। কয়েক ঘন্টা পরে, এই ২৩ বছর বয়সী ভেনিজুয়েলার তরুণীকে তাঁর দুটি ছোট সন্তান এবং স্বামী সহ মুক্তি দেওয়া হয়ে, কিন্তু, তিনি বলেছিলেন যে, কর্তৃপক্ষ তাঁর ৩০ বছর বয়সী দাদা অরল্যান্ডো মালডোনাডোকে মুক্তি দেবে না। তিনি বেরিয়ে আসার সময় তাঁর দাদা তাঁকে কাতর অনুরোধ করেছিলেন, ‘আমাকে মরতে দিও না।’ সেই রাতেই বন্দি শিবিরের ভিতরে অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। মেক্সিকান সরকার জানিয়েছে, এখান থেকে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ৬৮ জন নাগরিককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল।

ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বন্দি শিবিরের মধ্যে শরণার্থীদের তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তারপরেই লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। ভেতরে থাকা বন্দিরা বেরোতে না পেরে নিরুপায় হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন শরণার্থী শিবিরের মধ্যেই। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। কিন্তু, দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে আসা হাজার হাজার শরণার্থীদের ‘দুর্ঘটনায়’ মৃত্যু, বা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া , এমনকি পাচার হয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। 
 

 

আরও পড়ুন-
মমতা-অভিষেকের জোড়া সভার দাপট, বুধবার তৃণমূলী উদ্যোগে বিশেষভাবে প্রস্তুত কলকাতা 
মঙ্গলবার ভারতে জ্বালানির দামে ওঠানামা কতদূর? দেখে নিন কলকাতা সহ সব শহরের আপডেট

Weather News: বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ায় রাতের তাপমাত্রায় পতন, বঙ্গে বর্ষণ কমবে কবে?