সংক্ষিপ্ত

লেবাননের আইনপ্রণেতা পাওলা ইয়াকুবিয়ান ফ্লাইটে ছিলেন এবং তার টুইটার পেজে ছবি শেয়ার করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে বিমানের ফুসেলেজে একটি গর্ত দেখা যাচ্ছে।

জর্ডন থেকে বেইরুটগামী একটি মিডল ইস্ট এয়ারলাইনস (এমইএ) যাত্রীবাহী বিমান অবতরণের সময় রীতিমত বিপদে। বৃহস্পতিবার বেইরুটে অবতরণের সময় একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট বুলেট আঘাত করে ওই বিমানটিকে। তবে সেভাবে কোনও ক্ষতির খবর মেলেনি। যদিও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করা হচ্ছে। এমইএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এল-হাউট বলেছেন কোনও যাত্রীর বা কেবিন ক্রুদের আহত হওয়ার খবরও মেলেনি।

হাউট রয়টার্সকে বলেছেন যে সাত থেকে আটটি দাঁড়িয়ে থাকা প্লেনে প্রায় প্রতি বছর বেইরুট বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলি আঘাত করে। তবে বুধবারের ঘটনাটি প্রথমবার ঘটল, যখন কোনও চলন্ত বিমানে বুলেট হানার ঘটনা ঘটল।

সেলিব্রেটরি বন্দুকযুদ্ধ লেবাননে একটি সাধারণ ঘটনা। লেবাননে বন্দুক রাখা ও তার যথেচ্ছ ব্যবহারও খুব সাধারণ বিষয়। রাজনীতিবিদদের বক্তৃতা হোক বা কোনও পরীক্ষার ফরপ্রকাশ, সেখানে বন্দুক চালানো সাধারণ মানুষের কাছে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। সেই প্রেক্ষিতে হাউট বলেন "লেবাননে বাতাসে গুলি চালানোর এই অনুশীলনগুলি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এটি বিমান চলাচল এবং বিমানবন্দরের জন্য রীতিমত বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।"

জানা গিয়েছে লেবাননের আইনপ্রণেতা পাওলা ইয়াকুবিয়ান ফ্লাইটে ছিলেন এবং তার টুইটার পেজে ছবি শেয়ার করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে বিমানের ফুসেলেজে একটি গর্ত দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন যে ঘটনাটি "আমার মাথার উপরেই ঘটে। কারণ তিনি 2F সিটে বসে ছিলেন। তবে কিছুটা চমকে গিয়ে ভয় পেলেও, বিমানের কেউ আহত হননি।

উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই মায়ানমারে একটি যাত্রীবাহী বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সেই গুলি বিমানের গা ফুটো করে গিয়ে সরাসরি লাগে যাত্রীর গায়ে। আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি ছিল মায়ানমার ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের। এটি ছিল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। এতে ছিলেন ৬৩ যাত্রী। বিমানটি যখন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের লইকাউ বিমানবন্দরে অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনই এটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় বিমানটি ছিল ৩,২৮০ ফুট উপরে। এতে বিমানের গা ফুটো হয়ে গুলিবিদ্ধ হন এক যাত্রী। এ ঘটনার পর বিমানটিকে সফলভাবে জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হন পাইলটরা।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচুতে বিমানে গায়ে গুলি লাগল? কারাই বা এই গুলি চালিয়েছিল? মায়ানমার সরকার এই ঘটনার জন্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার।

আরও পড়ুন

মালদ্বীপে বিধ্বংসী আগুনের গ্রাসে ৯ ভারতীয়, আগুন নেভাতে লাগল ৪ ঘণ্টা

রাজা চার্লসকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারল এক ছাত্র, বলল 'ইনি আমার রাজা নন'