সংক্ষিপ্ত

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পৃথিবী আর বৃহস্পতির ওপরে মেঘ সৃষ্টি হওয়ার মধ্যে বেশ কিছুটা সামঞ্জস্য আছে। পৃথিবী এবং বৃহস্পতির ওপর বজ্রপাত প্রক্রিয়ারও বিস্তারিত মিল রয়েছে। 

সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি, এই গ্রহে ঘটে চলা অদ্ভুত ক্রিয়াকলাপ ঘিরে বিজ্ঞানীদের দারুণ আগ্রহ। সেই জ্ঞান আহরণের আগ্রহের বশেই বৃহস্পতির চারিদিকে ঘোরার জন্য মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ ‘জুনো’ পাঠিয়েছে NASA। সেই উপগ্রহ চিত্রেই এর আগে ধরা পড়েছিল বৃহস্পতির আকাশে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণাবর্তের ছবি, এবার চলতি বছরের জুন মাসে প্রকাশ পেল বৃহস্পতি গ্রহে বিদ্যুৎ চমকের চিত্র। ইতিমধ্যেই সেই ছবি প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল এরোনটিক্স এবং স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA)।

বৃহস্পতি গ্রহের ওপর সৃষ্ট মেঘের ওপর প্রায় ৩২ হাজার কিলোমিটার দূরবর্তী অঞ্চল দিয়ে ঘুরে চলেছে উপগ্রহ ‘জুনো’, ইতিমধ্যেই এই গ্রহের চারিদিকে প্রায় ৫০ বার প্রদক্ষিণ করে ফেলেছে উপগ্রহটি। বহুবিধ অজানা গ্যাসে ভর্তি এই গ্রহের ওপরে এবার বজ্রপাত হওয়ার ঘটনাও জানা গেল। ছবিটি বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে যে, কীভাবে বিশাল বড় এই গ্রহের ওপরে ঝড় এবং বজ্রপাত হওয়ার মতো ঘটনাগুলি ঘটে। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারিখে ৩১ তম প্রদক্ষিণটি করার সময় বাজ পড়ার ছবিটি উঠেছিল ‘জুনো’-র ক্যামেরায়।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পৃথিবী আর বৃহস্পতির ওপরে মেঘ সৃষ্টি হওয়ার মধ্যে বেশ কিছুটা সামঞ্জস্য আছে। দুটি গ্রহেই মেঘ সৃষ্টি হয় জল থেকে। শুধু তফাৎ এটাই যে, পৃথিবীতে মেঘ উৎপন্ন হয় জল দ্বারা এবং বেশিরভাগ বজ্রপাতই বিষুব রেখার কাছে ঘটে। আরেকদিকে, বৃহস্পতি গ্রহে মেঘ উৎপন্ন হয় অ্যামোনিয়া এবং জল দ্বারা। এই গ্রহে বেশিরভাগ বজ্রপাতই মেরুর কাছাকাছি ঘটে।

পৃথিবী এবং বৃহস্পতির ওপর বজ্রপাত প্রক্রিয়ারও বিস্তারিত মিল রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উভয় গ্রহে বজ্রপাতের হার একই। যদিও সবচেয়ে বৃহত্তম গ্রহে বজ্রপাতের বন্টন পৃথিবীর থেকে আলাদা হয়।

আরও পড়ুন-

Adipurush: ‘আদিপুরুষ’-এ রাম, সীতা, হনুমান আর রাবণের চরিত্রায়ণ নিয়ে আপত্তি, হিন্দু সেনা-র আর্জি খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট
Mamata Banerjee: বৃহস্পতিবার লালুপ্রসাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, শুক্রবার বিরোধী-বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

PM Modi: মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, শিক্ষাবিদ এবং স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দেখা করলেন নরেন্দ্র মোদী, কী কী বিষয়ে আলোচনা হল?