সংক্ষিপ্ত
অঞ্জুর স্বামীও একজন পাইলট ছিলেন, যিনি ২০০৬ সালের দিকে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। তিনি একটি অভ্যন্তরীণ ক্যারিয়ারের জন্য একটি ছোট যাত্রীবাহী বিমান ওড়াচ্ছিলেন
নেপালের বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানের পাইলটের দেহ পাওয়া গেলেও কো-পাইলট অঞ্জু খাতিওয়াদার দেহ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বিমানটিতে থাকা কারও জীবন বাঁচানো যায়নি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে বিমানের কো পাইলট অঞ্জুর স্বামীও ১৬ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর ২০১০ সালে স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সে যোগ দেন অঞ্জু।
তথ্য অনুসারে, অঞ্জুর স্বামীও একজন পাইলট ছিলেন, যিনি ২০০৬ সালের দিকে বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। তিনি একটি অভ্যন্তরীণ ক্যারিয়ারের জন্য একটি ছোট যাত্রীবাহী বিমান ওড়াচ্ছিলেন, যা অবতরণের কয়েক মিনিট আগে ভেঙে পড়ে। আর আশ্চর্যজনক ভাবে রবিবার, ৪৪ বছর বয়সী অঞ্জু খাতিওয়াদাও মারা যান। তিনিও কাঠমান্ডু থেকে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে কো-পাইলট ছিলেন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটিতে থাকা ৭২ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি। খাতিওয়াড়ার কথা উল্লেখ করে, এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা বলেছেন, "তার স্বামী দীপক পোখরিয়াল ২০০৬ সালে জুমলায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের টুইন অটার বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি তার স্বামীর মৃত্যুর পরে বীমা থেকে পাওয়া অর্থ পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করেছিলেন।"
বারতোলা জানান, অঞ্জু খাতিওয়াদার ৬,৪০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি একজন ভালো পাইলট ছিলেন, অতীতে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পোখারার জনপ্রিয় পর্যটন রুটে বেশ কয়েকবার উড়ে এসেছিলেন। জানাবেন বিমানের ক্যাপ্টেন কামাল কেসির লাশ পাওয়া গেছে। তার ২১ হাজার ৯০০ ঘন্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। তবে অঞ্জুর দেহ এখনও পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনার বিষয়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা জানান, অঞ্জু সব সময়ই সব দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত ছিল। এর আগেও বহুবার পোখরাতে উড়ে এসেছিলেন তিনি। ফলে এই যাত্রা তাদের জন্য অজানা বা কঠিন ছিল না, কিন্তু অদ্ভুত পরিস্থিতিতে এত বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। কেন এরকম দুর্ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে কোনও কূল কিনারা করে উঠতে পারছেন না আধিকারিকরা।