সংক্ষিপ্ত

আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (AI) ব্যবহার করে মহিলাদের ছবি নিয়ে নগ্ন করার প্রবণতা হু হু করে বেড়ে চলেছে। প্রকৃত শরীর দেখা না গেলেও মনোবিদদের দাবি, কৃত্রিম শরীরকেই প্রকৃত শরীর হিসেবে কল্পনা করছে অপরাধীরা।

বর্তমান যুগে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেমন মানুষের কাজ সহজ থেকে সহজতর করে তুলেছে, তেমনই উলটোদিকে, এই Artificial Intelligence ব্যবহার করে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে অপরাধ করার প্রবণতা। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে যেমন ছড়ানো হচ্ছে শয়ে শয়ে ভুয়ো তথ্য, ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় বড় তারকা, প্রত্যেকের সম্মানহানির মতো ঘটনাও দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে উঠেছে। আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে আরও ভয়াবহ তথ্য। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (AI) ব্যবহার করে মহিলাদের ছবি নিয়ে নগ্ন করার প্রবণতা হু হু করে বেড়ে চলেছে। 

-
 

গ্রাফিকা (Graphika) নামক একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক বিশ্লেষক সংস্থার তরফে কৃত সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, চলতি বছরের শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ২৪ মিলিয়ন বা ২.৪ কোটি মানুষ এরকম ধরনের ওয়েবসাইটে ঢুকেছেন, যেগুলির দ্বারা মহিলাদের ছবির ওপর আঙুল বুলিয়ে তাঁদের শরীর কৃত্রিমভাবে নগ্ন করে দেখা যায়। প্রকৃত শরীর দেখা না গেলেও মনোবিদদের দাবি, কৃত্রিম শরীরকেই প্রকৃত শরীর হিসেবে কল্পনা করছে অপরাধীরা।

সোশ্য়াল মিডিয়ায় এরকম ন্যুডিটি অ্যাপ (Nudity app) বা ওয়েবসাইটগুলি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ‘গ্রাফিকা’-র রিপোর্ট জানাচ্ছে যে, এরকম অ্যাপের প্রস্তুতকারকরা ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমগুলিতে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এই ধরনের বিজ্ঞাপনের লিঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৪০০ শতাংশ।

-

সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, এই প্রবণতা সমাজের পক্ষে ভয়াবহ। এগুলি হল নন-কনসেনসুয়াল পর্নোগ্রাফি (Non Consensual Pornography)। এটা ডিপফেক (Deepfake) পর্নোগ্রাফিরই একটি অংশ। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করেই এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। কোনও মহিলার অনুমতি না নিয়ে তাঁর অজান্তে তাঁর ছবি ব্যবহার করে তাঁকে নগ্ন করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই তাঁদের ছবি বিনা অনুমতিতে নেওয়া হচ্ছে। ওপেন সোর্স থেকে নিখরচায় ছবিগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যাচ্ছে, এবং সেই ছবিকেই বিকৃত করে আপলোড করা হচ্ছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবিগুলি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যা দেখলে মনে হবে যে সেগুলি আসল ছবি।


-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।