সংক্ষিপ্ত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক ক্রমশই শক্তপোক্ত হচ্ছে।সেই সময়ই কিম জং উন পরপর মিসাইল উৎক্ষেপণ করে চমকে দিতে চাইছেন

 

এবার আর একটা নয়, পরপর কয়েকটা ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া। চিন ও কোরিয় উপদ্বীপের মধ্যবর্তী হলুদ সাগর বা ইয়লো সি-কেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য বেছে নিয়েছিল কিম জং উনের দেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলের একটি সংবাদপত্র তেমনই দাবি করেছে।

একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক ক্রমশই শক্তপোক্ত হচ্ছে। দুটি দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করছে। সেই সময়ই কিম জং উন পরপর মিসাইল উৎক্ষেপণ করে চমকে দিতে চাইছেন বলেও মনে করছে অনেকে। যদিও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কিছুই জানান হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়া সূত্রের খবর শনিবার তাদের স্থানীয় সময় ভোর ৪টের সময় মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়। পরপর কয়েকটি ক্রুজ মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয় বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী দাবি করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই গোটা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছে। কারণ মাত্র তিন দিন আগেই উত্তর কোরিয়ার জাপানের দিকে তাক করে দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল। এই বিষয় নিয়েও কিম মুখ বন্ধ রেখেছেন। সেই কারণেই কিম জং উনের উদ্দেশ্য কি তা বোঝার চেষ্টা করছে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

পিংয়ইংয় ও সিওলের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশই বাড়ছে। দুই দেশের কূটনৈতিক স্থবিরতা আপাতত কাটবে বলেও মনে করে না বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় কিম জং উন কৌশলগত পারমানবিক অস্ত্র সহ অস্ত্র বাড়িতে দেশকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র বোঝাই রণতরী দীর্ঘ কয়েক দশক পর দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু তার আগেই কিম জং উনের মিসাইল উৎক্ষেপণ দুই দেশকেই চিন্তায় পেলে দিয়েছেন।

বুধবার মার্কিন রণতরী পরিদর্শন করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। তিনি পিয়ংইয়ংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রতিরক্ষা সম্পদ দেখে আশ্বস্ত। তাই কেউ যদি একটি পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করে তাহলে তার ফল ভাল হবে না। সংশ্লিষ্ট দেশকে ফল ভুগতে হবে। শাসন ব্যবস্থাই পাল্টে দেওয়া হবে।

উত্তর কোরিয়া গত বছর একটি সুস্পষ্ট পারমাণবিক আইন গৃহীত হয়েছে এমন পরিস্থিতির একটি বিন্যাস নির্ধারণ করে যেখানে হুমকি দেওয়া হলে পূর্ব-প্রাণঘাতী হামলা সহ তার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।